দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩৪০ বাস কিনতে চায় সরকার

তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এসব বাস চলাচলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যাতে ঢাকার মানুষ পর্যাপ্ত গণপরিবহন পান।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাস

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩৪০ বাস এবং যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানির প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।

এক হাজার ১৩৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ৮২৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেবে। বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পের সময়সীমা আগামী বছরের ডিসেম্বর।

তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এসব বাস চলাচলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যাতে ঢাকার মানুষ পর্যাপ্ত গণপরিবহন পান।

বিআরটিসির বহরে বর্তমানে ১ হাজার ৩৫০টি বাস আছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৫০ বাস চলাচল করছে। বাকিগুলোর মেরামতের কাজ চলছে।

বিআরটিসি দেশের শহর ও আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা দেয়।

সেই কর্মকর্তা আরও জানান, অনেকগুলো বাস মেরামতেরও অযোগ্য। সেগুলো রাস্তায় নামানো যাবে না।

সরকার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন।

এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে রাজধানীর কুতুবখালীর চিটাগাং রোডের সঙ্গে বিমানবন্দরের সরাসরি ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হবে।

বাস কেনার মূল লক্ষ্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ছাড়া, বিআরটিসির বাসগুলো অন্যান্য রুটে চলাচল করবে।

সিএনজি-চালিত হওয়ায় বাসগুলো পরিবেশবান্ধব হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিনতে যাওয়া ৩৪০ বাসের মধ্যে ১৪০টি হবে সিঙ্গেল ডেকার এসি বাস। এগুলো শুধু ঢাকায় চলাচল করবে। এ ছাড়া, প্রায় ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত আনুষঙ্গিক ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম আমদানির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বাকি ২০০ সিঙ্গেল ডেকার এসি বাস আন্তঃনগর রুটে চলাচল করবে। এগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামও আমদানি করা হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, 'খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে অতীতে আমদানি করা বাস চালাতে না পারায় যন্ত্রাংশ আমদানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।'

২০১৯ সালে বিআরটিসির সেবার মান ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সে দেশ থেকে ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক কেনা হয়।

বিআরটিসির বহরের আকার তখন ১ হাজার ৬০০-এ উন্নীত হয়েছিল। তবে গত ৪ বছরে অনেক গাড়ি বিক্রি করে দিতে হয়।

Comments