অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের উন্নয়ন ব্যয় ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

এডিপি
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধীরগতিতে চলছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বরাদ্দের মাত্র ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা এডিপি বাজেটের মধ্যে মাত্র ৬১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান এডিপি বাস্তবায়নের হার ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়েও কম। তখন ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে বাস্তবায়নের হার ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশে নেমে এসেছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল বলেন, 'এভাবে এডিপি বাস্তবায়নের হার কমতে থাকা অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয়।'

তিনি মনে করেন, জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছিল। এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির এটি একটি কারণ।

তিনি বলেন, এছাড়া চলতি বছর সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির একটি কারণ হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অস্থায়ী তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে এনবিআর, যা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার কম।

বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি তহবিল ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে স্থানীয় প্রকল্পে বিদেশি ঋণ থেকে ব্যয় কিছুটা কমে ২৬ দশমিক ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা বা ২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নের মান উন্নয়নে সম্ভাব্যতা যাচাই নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ লক্ষ্যে তিনি বিদেশি ঋণ ও অনুদান কাজে লাগানো, জনগণের জন্য কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও প্রকল্প পরিচালকদের জন্য একটি 'অভিজ্ঞ প্যানেল' গঠনের নির্দেশনা দেন।

সর্বোচ্চ এডিপি বরাদ্দ পাওয়া ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৯১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।

কম ব্যয় করা অন্যদের মধ্যে আছে- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগ। তবে, সেতু বিভাগ বাজেটের ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যয় করে শীর্ষে ছিল।

দ্বিতীয়তে আছে রেলপথ মন্ত্রণালয় (৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ) ও তৃতীয় কৃষি মন্ত্রণালয় (৩২ দশমিক ০৩ শতাংশ)।

Comments

The Daily Star  | English

Rickshaw-puller picked up from Dhanmondi 32 gets bail

There is no legal bar for him to walk out of jail, his lawyer Advocate Farzana Yasmin Rakhi told The Daily Star

1h ago