কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসকে কিনে নিল তুরস্কের আইসেক

কোকা-কোলা আইসেক, কোকা-কোলা, আইসেক, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড, কোকা-কোলা কিনে নিচ্ছে আইসেক,

তুরস্কের বেভারেজ কোম্পানি কোকা-কোলা আইসেক (সিসিআই) ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের চুক্তি সম্পন্ন করেছে।

কোকা-কোলা আইসেকের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শেয়ার স্থানান্তর নিবন্ধনের পরে গতকাল এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, 'ইক্যুইটি মূল্য ক্লোজিং অডিট ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাক-সম্মত মূল্যের সমন্বয় সাপেক্ষে হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর সিসিবিবির ১০০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এখন সিসিআই।

অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পাঁচ দিন পর ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক কোম্পানিটি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করল।

সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকা-কোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে। যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি।

কোকা-কোলা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ২০১৭ সালে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানাটি স্থাপন ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলে। তার সাত বছর পর সিসিবিবি ইস্তাম্বুলভিত্তিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হলো।

বাংলাদেশের কোমল পানীয়ের বাজার ৪ হাজার কোটি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোমল পানীয় প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ ও পারটেক্সের মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।

সিসিআইয়ের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিসিআই কোকা-কোলার ব্র্যান্ড উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে এবং ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই দেশগুলো হলো- আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান।

সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বলেছেন, 'আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাসহ বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি।'

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে সিসিআই বলেছে, ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি বার্ষিক গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে এবং ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিসিবিবি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় দশ কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী, একটি বোতলজাত প্লান্ট ও তিনটি প্রধান গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয় পয়েন্ট আছে। এছাড়া তাদের ৫০০ ডিস্ট্রিবিউটর আছে।

Comments

The Daily Star  | English
Banks income from investment in bonds

Bond boom contributes half of bank income

The 50 banks collectively earned Tk 39,958 crore from treasury bonds in 2024, up from Tk 27,626 crore in the previous year, according to an analysis of their audited financial statements.

14h ago