‘বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে লজিস্টিক খাতে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন’

ডিসিসিআই বলছে, ‘লজিস্টিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে এক ডলার বিনিয়োগ অর্থনীতিতে শূন্য দশমিক ০৫ ডলার থেকে শূন্য দশমিক ২৫ ডলার রিটার্ন দিতে পারে।’
ডিসিসিআই, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, একে আজাদ,
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা। ছবি: ডিসিসিআই

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলেছে, উন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের ২০৩০ সালের মধ্যে লজিস্টিক অবকাঠামো খাতে ২৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।

তারা বলছে, 'লজিস্টিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে এক ডলার বিনিয়োগ অর্থনীতিতে শূন্য দশমিক ০৫ ডলার থেকে শূন্য দশমিক ২৫ ডলার রিটার্ন দিতে পারে।'

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব জানিয়েছে ডিসিসিআই।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সংসদ সদস্য একে আজাদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান।

এক গবেষণাপত্রে ডিসিসিআই বলেছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে অর্থনীতির আকার হতে হবে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৬৫০ ডলার এবং রপ্তানি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ-টু-জিডিপি অনুপাত ২০৩০ সালের ৩৬ শতাংশ থেকে ২০৪১ সালে ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

এ সময় আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করা, সালিশি আইন বাস্তবায়ন ও খেলাপি ঋণ কমাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোকে দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের অবিতরণ অংশ সহজ শর্তে বিতরণ করার পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারের মাধ্যমে প্রিমিয়াম ট্রেজারি বন্ড ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার বন্ড চালুর পরামর্শ দিয়েছে ডিসিসিআই।

Comments