রিজার্ভ ১৯.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছ

সাধারণত আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পরপর আমদানি বিল পরিশোধ করে এবং এই বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়।
আইএমএফ, বাংলাদেশের রিজার্ভ, রিজার্ভ, বাংলদেশ ব্যাংক,
রয়টার্স ফাইল ফটো

জুলাই ও আগস্টের আমদানি ব্যয় বাবদ এক দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতিতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত সোমবার সরকার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করে।

মূলত ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- এই নয়টি দেশের মধ্যে আকুর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বিল পরিশোধ করা হয়।

সাধারণত আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পরপর আমদানি বিল পরিশোধ করে এবং এই বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়াল-৬) হিসাব অনুযায়ী গত ২৯ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী, আকু পেমেন্টের পর মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বিল পরিশোধের আগে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ কমতে শুরু করে।

এদিকে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আগস্ট শেষে প্রবাসী আয় বার্ষিক প্রায় ৩৯ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা কিছুটা হলেও রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়েছে।

ব্যাংকারদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রবাসীদের আস্থার কারণে আগামীতে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বাড়তে পারে।

Comments