নগদের ফরেনসিক নিরীক্ষা হবে

নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, নগদ, বাংলাদেশ ব্যাংক,

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনে ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান 'নগদ' এর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিয়মিত নিরীক্ষার পাশাপাশি আগের সব কাজের ফরেনসিক নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসক।

ফরেনসিক নিরীক্ষা হলো, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসহ সব তথ্য খতিয়ে দেখা। ওই নিরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যবহার করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ আদেশে, গত ২১ আগস্ট মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য নগদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন।

প্রশাসকের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার জন্য নগদের বিভিন্ন পদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকেও নিয়োগ দেওয়া হয়।

মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ও লেনদেনে অনিয়মের অসংখ্য অভিযোগের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সম্প্রতি নগদের প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আগের সব কাজের মান নির্ধারণে ফরেনসিক নিরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

এদিকে প্রশাসক নিয়োগের পর নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুকসহ আগের ব্যবস্থাপনা দল কার্যত বিলুপ্ত হয়ে যায়।

২০১৯ সালের মার্চে বাজারে আসা নগদ এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে চলছে।

গত জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সপ্তমবারের মতো অস্থায়ী লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ায় এবং আগামী বছরের জুনে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বনানী থানায় তানভীর এ মিশুকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বদিউজ্জামান দিদার।

অভিযোগে বদিউজ্জামান দিদার বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর মিশুক তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে খুদে বার্তা পাঠানোর পর তিনি 'একধরনের হুমকি বোধ' করেন।

বনানী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহীন আলম স্বাক্ষরিত জিডির একটি অনুলিপি দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, মিশুকের সঙ্গে টেক্সট আলাপের পর জিডি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নগদের আগের ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছে। এরপর প্রশাসককে হুমকি দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে জানতে নগদের সাবেক প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুকের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই তার মন্তব্য জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

7h ago