মিরসরাইয়ে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়বে বেজা

সৌরবিদ্যুৎ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়ে সেখানকার পতিত জমি ব্যবহারের কথা ভাবছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ও বেজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠা করা।'

বেজা ইতোমধ্যে কারখানার জন্য ১৫৬ বিনিয়োগকারীর মধ্যে ১৬ হাজার ৮০০ একর জমির প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ একর বরাদ্দ দিয়েছে।

পরিকল্পনা অনুসারে, অর্থনৈতিক অঞ্চলটির ৫৫ শতাংশ বা নয় হাজার ২৪০ একর জমিতে কারখানা হবে। আরও ২৫ শতাংশ বা চার হাজার ২০০ একর জমিতে রাস্তা, ইউটিলিটি, হ্রদ ও গাছপালা থাকবে। বাকি ২০ শতাংশ হ্রদ ও বনায়নের জন্য খালি থাকবে।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা পর্যায়ক্রমে উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা হয়ে গেলে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভাবব।'

কারখানার জন্য যে তিন হাজার ৮৪০ একর জমি আছে এর একটি অংশে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক গড়ে তোলা হতে পারে।

'প্রায় ১৫ বছর ধরে জমি অব্যবহৃত রেখে লাভ নেই' উল্লেখ করে আশিক চৌধুরী বলেন, 'পরিকল্পনাটি ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।'

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও একটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবে। বহুপাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হবে বলেও জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

বিষয়টি এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে এবং খরচ এখনো ধরা হয়নি। বেজা আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক করতে চায়।

এ ছাড়াও, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব সোলার প্যানেল বসাতে পারবেন বলেও জানান আশিক চৌধুরী।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে চাপ দেওয়া হবে তা বেজা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করব।'

'একইভাবে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করব। বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখতে পারেন এমন সৎ ও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে চাই। এমন প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না যা পূরণ সম্ভব নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'অর্থনৈতিক অঞ্চলের চারপাশে নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। ২০২৮ সাল থেকে বিনিয়োগকারীরা এখানে বিদ্যুৎসহ সব ইউটিলিটি নিতে পারবেন।'

'বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের কারখানা কোথায় করা যেতে পারে এর পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরব। এ জন্য আমি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের মতো সৎ ও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago