সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ছে

সঞ্চয়পত্র

বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়িয়ে ১২ শতাংশের বেশি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে চার ধরনের সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক চার শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা দেওয়া হয়।

চার ধরনের সঞ্চয়পত্র হলো—পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্র।

এসব সঞ্চয়পত্রের জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করবে সরকার, যা ট্রেজারি বন্ডের হারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

১ জানুয়ারি থেকে নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর হবে জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিগগিরই এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি আসবে।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা নতুন পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হবে পাঁচ বছর মেয়াদি ও দুই বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার অনুযায়ী। প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রেজারি বন্ডের সুদহার পর্যালোচনা করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে।

বর্তমানে চারটি সঞ্চয়পত্রের জন্য তিন ধরনের মুনাফার হার রয়েছে।

নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার বেশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বর্তমানে একজন গ্রাহক মেয়াদপূর্তির পর ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মুনাফা পান।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে চলমান ব্যবস্থায় এই হার ১১ দশমিক ০৪ থেকে ৯ শতাংশ।

পরিবার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে নতুন হার হবে ১২ দশমিক ৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যেখানে চলমান ব্যবস্থায় মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

এছাড়া নতুন ব্যবস্থায় পেনশনার স্কিমের বিপরীতে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৫৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে যা ১১ দশমিক ৭৬ থেকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তবে ওয়েজ আর্নার্স বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডের হার অপরিবর্তিত থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

13h ago