চাইমের খালিদ ও খালিদের গান

খালিদ। ছবি: সংগৃহীত

তরুণ মুন্সীর লেখা জুয়েল বাবুর সুরে 'সরলতার প্রতিমা' গানের দর্শকনন্দিত গায়ক খালিদ। যিনি নিজের মতো করে বাঁচতেন, গান গাইতেন। তার প্রথম পরিচয় 'চাইম' ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী। আশির দশকে চাইম ব্যান্ডে গান করে শ্রোতাপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। পরে তার কণ্ঠে আরও অনেক মনমাতানো গান শুনেছেন শ্রোতারা। 

গতকাল ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় সংগীতাঙ্গনে একরাশ বিষাদ ছড়িয়ে বিদায় নিলেন জীবনের ওপারে। খালিদের চাইম ব্যান্ড ও শ্রোতাপ্রিয় গান নিয়ে এই লেখা।

আশির দশকে, অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে 'চাইম' ব্যান্ডের সঙ্গে পথচলা শুরু করেন খালিদ। তার জীবনের প্রথম আ্যলবাম ছিল চাইম ব্যান্ডের আ্যলবাম। নাম ছিল 'চাইম'। 

সেখানে তার গান ছিল-বেকারত্ব, নাতি খাতি বেলা গেল, তুমি জানো নারে প্রিয়, কীর্তনখোলা নদীতে আমার, এক ঘরেতে বসত কইরা, ওই চোখ, প্রেম, সাতখানি মন বেজেছি আমরা এবং আমার জন্য রেখো গানসহ আরও দুটি ইংরেজি গান ছিল। সেই অ্যালবামের 'নাতি খাতি বেলা গেল' গানটি আশির দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। খালিদ উঠে আসেন তরুণদের প্রিয় শিল্পীর তালিকায়। 

চাইম ব্যান্ডের গানের পাশাপাশি খালিদের কণ্ঠের একক অনেক গান দিয়ে বুকের ক্ষত ঢাকতেন অগণিত মানুষ। যার গান একসময় পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিভিন্ন বিপণি বিতানসহ দোকানে দোকানে। যে গানগুলোর বেশিরভাগ লিখেছেন, সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। এই জুটির সৃষ্ট অনবদ্য গানগুলো শ্রোতাদের মোহিত করে রাখত। 

ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, মাকসুদ ও শাফিন আহমদের পাশাপাশি মিশ্র অ্যালবামে খালিদের গান আলাদা একটা ভূমিকা রাখত। শ্রোতারা তার মায়াময় গানের কারণে অ্যালবাম কিনতেন। সেইসব মিশ্র অ্যালবামে খালিদের কণ্ঠে 'তুমি আকাশের বুকে সরলতার প্রতিমা', 'যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে', 'কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে', 'হয়নি যাবার বেলা', 'যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে', 'তুমি নেই তাই' ও 'আকাশনীলা' গানগুলো এখনো মানুষের কানে কানে বাজে।

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

7h ago