নতুন কবিতার বই নিয়ে আফজাল হোসেন
আফজাল হোসেনকে বলা হয় চির সবুজ নায়ক। এ দেশের টেলিভিশন নাটকের অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়দের মধ্যে তিনি একজন। অল্প কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। দীর্ঘ দিন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। চিত্র শিল্পীও তিনি। পরিচালক হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা।
সাহিত্য জগতেও আফজাল হোসেনের বিচরণ অনেক বছর ধরে। গদ্যের পাশাপাশি কবিতা লেখেন। এবার একুশে বই মেলায় এসেছে তার নতুন কবিতার বই। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
আপনার নতুন কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে, বইমেলায় গিয়েছেন কয়েকদিন, সবমিলিয়ে এবারের বইমেলা কেমন লেগেছে?
আফজাল হোসেন: বইয়ের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠতা বহুকাল ধরে। একটা সময় অসংখ্য মানুষ আসতেন বই কিনতে, বইয়ের ঘ্রাণ নিতে। এখন কেনার পাশাপাশি প্রচুর মানুষ ঘুরতেও আসেন। এটা হতেই পারে। সবকিছু মিলিয়ে এরকম বইমেলার প্রয়োজন আছে। পাঠক সৃষ্টিতে এরকম বইমেলার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছ। আমি লক্ষ্য করেছি প্রচুর মানুষ বইমেলায় আগ্রহ নিয়ে আসে। এর চেয়ে সুন্দর পরিবেশ আর কি হতে পারে?
কতটা ঘুরে দেখতে পেরেছেন এবারের বইমেলা?
আফজাল হোসেন: সবগুলো প্রকাশনা ঘুরে দেখা হয়নি। সুযোগ হয়নি। আমার বইটি এসেছে কয়েকদিন আগে। কবিতার বই আসার পর গিয়েছি। এরপর আরও দুই দিন গিয়েছি। ভিড় পিয়েছি অনেক। স্টলে বসেছি। সামান্য ঘুরেছিও। মোড়ক উন্মোচনের ওখানে গিয়েছি। যতটুকু দেখতে পেরেছি ভালো লেগেছে।
লেখালেখি কি নিয়মিত করেন?
আফজাল হোসেন: নিয়মিত লিখি। যখন ভালো লাগে লিখি। কখনো প্রতিদিন লেখা হয়। প্রকাশ হয়ত কম হয়। লিখতে ভালো লাগে। আঁকতে যেমন ভালো লাগে, লিখতেও ভালো লাগে। যে কবিতার বইটি এবার এসেছে, এটি আমার পঞ্চম কবিতার বই। মানুষ বই কেনে, আগ্রহ নিয়ে পড়ে, ভালো লাগে।
আপনার প্রথম বইয়ের কথা জানতে চাই?
আফজাল হোসেন: সে তো একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ইমদাদুল হক মিলন এবং আমার বন্বুত্ব অনেক দিনের। দুজনের একটি বই প্রকাশ হয়েছিল অনেকবছর আগে। ওটাই আমার প্রথম বই। বইয়ের নাম 'যুবকদ্বয়'। মিলনের একটি লেখা ছিল এবং আমার একটা লেখা ছিল। তখন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রচুর সময় কাটাতাম। চাঁদের হাঁট করতাম। সাহিত্যকে কেন্দ্র করে তখন অন্যরকম সময় কাটত আমাদের। বইটি পাঠকরা বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছিলেন।
যুবকদ্বয় বইটি কত সালে প্রকাশ হয়েছিল?
আফজাল হোসেন: সম্ভবত ১৯৭৮ সালে। পাঠক মহলে বেশ আলোচিত হয়েছিল।
Comments