একুশে পদক জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই বড় কথা: ডলি জহুর

‘আমি মনে করি, যাদেরই সম্মান জানানো হোক, সেটা বেঁচে থাকতেই জানানো উচিত।’
ডলি জহুর। ছবি: সংগৃহীত

টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী ডলি জহুর চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। এবার পাচ্ছেন একুশে পদক।

একুশে পদক প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে ডলি জহুরের সঙ্গে।

একুশে পদক প্রাপ্তির খবর পেয়ে কেমন লাগছে?

ভীষণ ভালো লাগছে। জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই বড় কথা। কেননা, অনেকেই তো মরণোত্তর পান। আমি মনে করি, যাদেরই সম্মান জানানো হোক, সেটা বেঁচে থাকতেই জানানো উচিত।

আপনার সঙ্গে যারা একুশে পদক পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন যার পদক প্রাপ্তিতে আপনি বেশি খুশি?

আছেন একজন। এন্ড্রুকিশোর। তার জন্য সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি। আমরা একসঙ্গে বহু বছর চলেছি, পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।

আমি গানের মানুষ না হলেও একসঙ্গেই আমরা একটা অফিস করেছিলাম। তাকে কাছ দেখে দেখেছি। কী অমায়িক ব্যবহার। তিনি জীবদ্দশায় একুশে পদক পেলে আরও খুশি হতাম।

অসাধারণ গান করতেন এন্ড্রুকিশোর। কত শত গান করেছেন। এটা তার প্রাপ্য। অন্য যারা পাচ্ছেন সবার প্রতি শ্রদ্ধা।

এই পদক প্রাপ্তি আপনার সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কতটা আনন্দিত করলো?

আমার ছেলে হয়েছে তার বাবার মতো। কোনো কিছুতেই বেশি উচ্ছ্বসিত সে না। তবে, আমার একুশে পদক প্রাপ্তির খবরে সে খুশি হয়েছে। আমার ছেলের বউ বিদেশ থেকে ফোন করে উইশ করেছে। আমার ভাগ্নি তার অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছে। সেও আমার মেয়ের মতোই। তার উচ্ছ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি।

এ ছাড়া, অভিনয় শিল্পীরা যেভাবে আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, আমি খুশি। এটাই ভালো লাগা। এটাই জীবনের আনন্দ।

জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মান, এখন একুশে পদক—জীবনে আর কোনো অপূর্ণতা আছে?

আমার কোনো অপূর্ণতা নেই। আমি জীবন নিয়ে খুশি। কখনোই আমার বেশি চাওয়া ছিল না। সবসময় অল্পতেই খুশি। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৫০ পেলেও আমি খুশি থাকি।

সবসময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। খুব বেশি আর চাওয়া নেই। অভিনয় করে কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই অনেক।

অভিনয় নিয়ে কোনো প্রত্যাশা আছে?

অভিনয় নিয়েও বেশি চাওয়া নেই। একজীবনে অনেক করেছি। নাটক, সিনেমায় নানারকম চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি, অভিনয় করে যেতে চাই। সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চাই।

 

Comments