‘শুটিং না থাকলে ভালো লাগে না’

তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শুটিংয়ে—বেশিরভাগই ঈদের নাটক। এবারের ঈদে তার অনেকগুলো নাটক প্রচার হবে।

ঈদের আগে এত ব্যস্ততায় কেমন লাগছে? জবাবে তটিনী বলেন, 'শুটিংয়ের ব্যস্ততা ভালো লাগে, উপভোগ করি। বরং, শুটিং না থাকলে ভালো লাগে না। এটা এখন পরিবারের মতো হয়ে গেছে।'

গতকাল মঙ্গলবার তটিনীর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছে তখনও তিনি রাজধানীতে একটি শুটিংয়ে। সেটাও ঈদের নাটক। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত নাটকটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তটিনী বললেন, 'কাজটি করে আনন্দ পাচ্ছি। আমার বিপরীতে আছেন ইয়াশ রোহান।'

ইয়াশের বিপরীতে 'বউয়ের বিয়ে' নাটকের শুটিংও শেষ করেছেন তটিনী। রুবেল হাসান পরিচালিত নাটকটি নিয়ে তিনি বলেন, 'এই নাটকের গল্প অন্যরকম। দর্শকরা আনন্দ পাবেন।'

মাহমুদ মাহিনের পরিচালনায় 'প্রিয় প্রিয়সীনি' নাটকে তার বিপরীতে আছেন জোভান। 'মন দিওয়ানা'য় তটিনীর বিপরীতে আছেন তৌসিফ মাহবুব। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'তোমাদের গল্প' নাটকের শুটিং শেষ। এই নাটকেও তটিনীর বিপরীতে আছেন জোভান। শেষ হয়েছে সিনেমাওয়ালার ব্যানারে 'অগ্নিশিখা' নাটকের শুটিংও।

তটিনী বলেন, 'এখন যেসব নাটকের শুটিং করছি, তার বেশিরভাগ ঈদের। এবারের ঈদে দর্শক বেশকিছু ভালো নাটক দেখতে পাবেন।'

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

তিনি বলেন, 'এবারের ঈদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গল্পে কাজ করেছি। চরিত্রের মধ্যেও ভিন্নতা আছে।'

জোভানের সঙ্গে একাধিক নাটকে ঈদের নাটকে কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, 'জোভান ভাই ভালো মানুষ, ভালো অভিনেতা। অভিনয়কে তিনি খুব সম্মান করেন। সহ-অভিনেত্রী হিসেব তিনি দারুণ।'

ইয়াশের সঙ্গে বেশকিছু নাটকে জুটি হয়েছেন তটিনী। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, 'কয়েকটি নাটকে ইয়াশ ভাইয়ের সঙ্গে দর্শকরা আমাকে দেখতে পারবেন। তিনি খুবই প্রফেশনাল।'

নাটকের ব্যস্ততা শেষ করে ঈদের আগে তটিনী যাবেন বরিশালে—নিজ বাড়িতে।

'বরিশাল যাব ঈদের ছুটিতে। অনেকদিন পর। নিজের এলাকায় যাওয়া মানেই অনেক আনন্দের। ওখানে আমার দাদাবাড়ি, নানাবাড়ি। জীবনের সুন্দর স্বর্ণালী সময় পার করেছি ওখানে,' বলেন তটিনী।

Comments

The Daily Star  | English

Prisoners celebrate Eid in unity and harmony at Dhaka Central Jail

Eid prayers for inmates were held at 8:15am inside the prison premises

1h ago