কণ্ঠ নকলের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেবেন হানিফ সংকেত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে হানিফ সংকেতের কণ্ঠ নকল করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টও দিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে হানিফ সংকেত লিখেছেন, 'গত কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছি একটি প্রতারক চক্র ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইত্যাদিতে আমার উপস্থাপনার অংশ ব্যবহার করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। তবে এআই কৃত্রিমভাবে যত সূক্ষ্মতার পরিচয়ই দিক না কেন, একটুখানি লক্ষ করলেই বোঝা যাবে এটা আসল নয় নকল। আমার কণ্ঠ অনুকরণ করলেও উপস্থাপনায় বাংলা উচ্চারণ ভিনদেশের।'
তিনি লিখেন, 'অনেক প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও আমি কখনোই কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করিনি। সুতরাং আমাকে ব্যবহার করে এ ধরনের এআই কিংবা প্রযুক্তিনির্ভর কোনো বিজ্ঞাপন দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। কারণ, এর সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যারা এ ধরনের প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি এর অপব্যবহারের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, প্রযুক্তিগত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), যা মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রদর্শন করতে পারে। তবে এর অপব্যবহারের ফলে ঘটছে অনেক অঘটনও। যার কারণে অনেকেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, বিভ্রান্ত হচ্ছেন।'
হানিফ সংকেত আরও লিখেছেন, 'এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি থেকে নিজেদের সৃষ্টিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ তারকারা কপিরাইট আইন হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে সংগীতশিল্পী দুয়া লিপা, এলটন জন, নাট্যকার ডেভিড হেয়ার, নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক কাজুও ইশিগুরোর মতো ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন। আমার মনে হয় এআই সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের উচিত কিছু নীতিমালা তৈরি করা- যাতে কেউ এর অপব্যবহার করতে না পারে।'
Comments