ভয়-রোমাঞ্চে মোড়ানো সাদা-কালো যুগের এই ১০ হরর সিনেমা দেখেছেন?

সিনেমার ইতিহাসে হরর (ভয়ের) চলচ্চিত্র এক বিস্ময়কর ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই ঘরানার সাদাকালো যুগের বহু মাস্টারপিস আজও দর্শকদের মাঝে শিহরণ সৃষ্টি করে। যদিও এসব ছবিতে রঙ নেই, সাদা-কালো চিত্রভাষাই বরং সেগুলোকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। আলো-আঁধারির তীব্র বৈসাদৃশ্য, ছায়ার খেলা এবং রহস্যময় পরিবেশ তৈরিতে এই সাদা-কালো সিনেমাগুলো এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এই লেখায় আমরা এমন ১০টি বিখ্যাত ও রোমাঞ্চকর সাদা-কালো হরর সিনেমার কথা জানব, যেগুলো যুগ পেরিয়ে আজও সমানভাবে দর্শকদের মনে ভয় জাগাতে পারে। শুধু ভয়ের দিক দিয়েই নয়, শিল্পমান ও সিনেমার ভাষার দিক দিয়েও এগুলো ইতিহাসের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।
১. সাইকো (১৯৬০)
ভৌতিক সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নির্মাতা আলফ্রেড হিচককের একটি সংজ্ঞায়িত মাস্টারপিস হলো সাইকো, যা এখনো অনেকের মতে ইতিহাসের সেরা হরর চলচ্চিত্র। রবার্ট ব্লকের লেখা এই সাসপেন্স-ভিত্তিক হরর- থ্রিলারটির কাহিনী আবর্তিত হয় মারিয়ন ক্রেনকে (জ্যানেট লি) ঘিরে, যিনি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সেক্রেটারি। তিনি অফিস থেকে একটি বড় অঙ্কের অর্থ চুরি করে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন একটি নিরিবিলি মোটেলে—বেটস মোটেল—যার মালিক নরম্যান বেটস (অ্যান্থনি পারকিন্স)।

এটি কেবল একটি চমৎকার হরর সিনেমাই নয়, বরং চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সমাদৃত ছবি হিসেবেও পরিচিত। 'সাইকো'-তে রয়েছে বহু স্মরণীয় দৃশ্য ও চমকপ্রদ মোড় যা একে ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক চলচ্চিত্রে পরিণত করেছে। হিচককের নির্মাণশৈলীর এক নিখুঁত প্রদর্শনী, এই ক্লাসিক সিনেমাটি চারটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয় এবং এত দশক পরেও এর গা শিউরে ওঠা প্রভাব বিন্দুমাত্র কমেনি।
২. নসফেরাতু (১৯২২)
ভৌতিক সিনেমার প্রাচীনতম ক্লাসিকগুলোর একটি হলো নসফেরাতু, যা আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে তার ছায়ার চাতুর্যপূর্ণ ব্যবহার এবং ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা উত্তেজনাপূর্ণ আবহের মাধ্যমে। ব্র্যাম স্টোকারের বিখ্যাত উপন্যাস ড্রাকুলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত এই জার্মান চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্র ম্যাক্স শ্রেক অভিনীত কাউন্ট অর্লক—এক ভয়ংকর রক্তপিপাসু ভ্যাম্পায়ার, যে তার সম্পত্তি দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্টের স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তাদের শহরে এক মরণব্যাধির বিস্তার ঘটায়।

নির্বাক যুগের সিনেমা কখনো আধুনিক হরর সিনেমার মতো ভয়ের রোমাঞ্চ সৃষ্টি করতে পারে না—এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয় নসফেরাতু। এফডব্লিউ মরনু পরিচালিত এই সিনেমাটি এখনো হরর ঘরানার এক তীব্রতম অভিজ্ঞতা। চলচ্চিত্রে হররের সূচনালগ্নের অন্যতম এই ছবিটির প্রিন্ট আদালতের নির্দেশে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অনুমতি নিয়ে না বানানোয়। সিনেমাটি তার অগ্রগামী নির্মাণশৈলীর জন্য আজও হরর অনুরাগীদের কাছে 'মাস্টওয়াচ' হিসেবে বিবেচিত হয়।
৩. নাইট অব দ্য লিভিং ডেড (১৯৬৮)
জর্জ এ রোমেরোর পরিচালনায় অভিষেক ঘটে এমন একটি চলচ্চিত্র দিয়ে, যা হরর ঘরানাকে একেবারে নতুন রূপ দেয়। 'নাইট অব দ্য লিভিং ডেড' একদল মানুষের গল্প বলে যারা একটি গ্রামীণ খামারবাড়িতে এক জম্বি-প্রলয়ের মাঝখানে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। এই সিনেমাটি মাংসাশী অমর প্রাণীর ধারণা প্রথমবারের মতো তুলে ধরে—যদিও ছবিতে তাদের কখনো 'জম্বি' বলা হয়নি—এবং এটি পরবর্তীতে প্রায় সব জম্বি চলচ্চিত্রের ভিত্তি হয়ে ওঠে।

১৯৬৮ সালে যখন এই সিনেমা মুক্তি পায়, তখন একে 'জাঙ্ক মুভি' বলে উপেক্ষা করা হয়। তবে এটি ব্যবসায়িক সাফল্য পায় ও কাল্ট ক্লাসিকের মর্যাদা পায়। এই ছবি শুধু ভয়াবহতাই নয়, বরং এর অন্তর্নিহিত বর্ণবাদ ও কোল্ড ওয়ারকালীন রাজনীতির উপস্থাপনের জন্যও দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। এটি সেই সময়ের বিরল সিনেমাগুলোর একটি যেখানে একজন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমার শেষ মুহূর্তের চমকপ্রদ মোড় এখনো দর্শকদের কাছে আলোচনার বিষয়।
৪. দ্য ক্যাবিনেট অব ড. ক্যালিগারি (১৯২০)
রবার্ট ওয়েন পরিচালিত 'দ্য ক্যাবিনেট অব ড. ক্যালিগারি' নির্বাক যুগের একটি জার্মান এক্সপ্রেশনিস্ট চলচ্চিত্র, যেখানে এক হিপনোটিস্ট তার নিয়ন্ত্রিত ঘুমন্ত সহকারীকে ব্যবহার করে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটায় কাল্পনিক শহর হোলস্টেনওয়ালে। ছবিটি বিখ্যাত তার কোণাকুণি সেট ডিজাইন ও অপসৃয়মান দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। আলো-ছায়ার সুনিপুণ ব্যবহার শুধু অস্থির পরিবেশই তৈরি করে না, বরং প্রধান চরিত্রের মানসিক অবস্থাকেও ফুটিয়ে তোলে। গল্পটি একজন বর্ণনাকারীর মাধ্যমে শুরু ও শেষ হয়, আর শেষের মোড়টিকে ধরা হয় সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম সেরা টুইস্টেড সমাপ্তি হিসেবে।

হরর ঘরানার প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র হিসেবে পরিচিত এই সিনেমাটি এক নিখুঁত ভিজ্যুয়াল মাস্টারপিস। এটি জার্মান এক্সপ্রেশনিজমকে বিশ্বমঞ্চে পরিচিত করে তোলে, আর্টহাউস চলচ্চিত্র আন্দোলনে প্রভাব ফেলে এবং ১৯৪০-এর দশকের ফিল্ম ন্যুয়ার শৈলীর পূর্বসূরি হয়ে ওঠে। অসংখ্য রিমেকের পরেও মূল চলচ্চিত্রটি আজও রাজত্ব করছে।
৫. ডায়াবলিক (১৯৫৫)
হিচকক বানাননি, এমন সিনেমার ভেতর সবচেয়ে হিচককসুলভ সিনেমা হলো হেনরি-জর্জ ক্লুজোর পরিচালিত ডায়াবলিক। সিনেমাটি দুজন নারীর গল্প, যারা এক প্রতারক ও নির্যাতক পুরুষের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে। হরর ও থ্রিলার ঘরানার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলা এই সিনেমাটি এখনো বিস্ময় জাগায়, যেখানে একজন স্ত্রী ও স্বামীর প্রেমিকা পরস্পরের পাশে দাঁড়ায়—এই বিষয়টি আজও প্রচলিত সমাজবোধকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

ভয় ও রহস্য একত্র হয়ে তৈরি করে এক গা ছমছমে চলচ্চিত্র—যার ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে ফিল্ম ন্যুয়ার ঘরানার ওপর। সিনেমার দ্বিতীয়ার্ধ যেন হরর সিনেমা নির্মাণের এক পাঠশালা, যেখানে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিত্ব ও পারস্পরিক উত্তেজনা একটি গথিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। দুই নারী চরিত্রের মধ্যে রসায়ন স্পষ্ট, যদিও তা কখনো পরিপূর্ণ হয় না। ডায়াবলিক একই সঙ্গে গোয়েন্দা ঘরানাকেও নতুন মাত্রা দেয়, যেখানে তদন্তের পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে গল্প এগোয়, কেবল হত্যাকারী খোঁজার দিকে নয়।
৬. ফ্রিকস (১৯৩২)
সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত চলচ্চিত্রগুলোর একটি হলো ফ্রিকস। একসময় ব্রিটেনে এটি ৩০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিল এবং পরিচালকেরা একে দায়ী করেন টড ব্রাউনিংয়ের ক্যারিয়ারের পতনের জন্য। তবে মুক্তির সময় দর্শকরা একে নৃশংস বললেও, বাস্তবে এটি অনেক বেশি সংবেদনশীল ও মানবিক। হেইস কোডের আগের যুগে তৈরি হওয়ায়, ব্রাউনিং পুরোপুরি স্বাধীনভাবে হরর সিনেমার এমন কিছু কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যা পরবর্তী বহু বছর পর্যন্ত দেখা যায়নি। তিনি বাস্তব সার্কাস কর্মীদের সিনেমায় নিয়েছিলেন এবং তাতে প্রতিবন্ধী মানুষদের অমানবিকভাবে দেখানোর অভিযোগ ওঠে—যদিও তিনি আসলে তাদের প্রতি করা বৈষম্যেরই সমালোচনা করতে চেয়েছিলেন।

তবে ফ্রিকস বাস্তবে একটি গভীর সহানুভূতিমূলক গল্প। এর বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছিল, তা ছিল একরকম অসহনশীল সামাজিক প্রতিক্রিয়া। সেই সময়ের দর্শকরা বড় পর্দায় এমন বাস্তবতা দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন না, আর তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা এই সিনেমাকে গ্রহণ করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আজ 'ফ্রিকস'-কে একটি মুক্তির গল্প হিসেবে দেখা হয়—যেখানে নিজেদের পরিচয় পুনরুদ্ধার করে তারা, যাদের সমাজ বরাবরই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে।
৭. ওনিবাবা (১৯৬৪)
জাপানি চলচ্চিত্র ইতিহাসে দুটি বিশেষ ঘরানা বিশেষভাবে উজ্জ্বল—একটি তাদের সামুরাই চলচ্চিত্র, অন্যটি হরর। ১৯৬৪ সালে মুক্তি পাওয়া 'ওনিবাবা' এই দুই ধারাকে একত্র করে। গল্পটি এক দরিদ্র মা ও তার পুত্রবধূকে নিয়ে, যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য ঘাতক হয়ে ওঠে—তারা সামুরাইদের হত্যা করে এবং তাদের জিনিসপত্র লুট করে।

এই গল্পের ভেতরকার অস্পষ্টতা ও রহস্য ভয়ংকর এবং তীব্র দৃষ্টিশৈলীর মাধ্যমে ফুটে ওঠে, যা সাদাকালো আলোকচিত্র-নির্ভরতায় আরও দৃষ্টিনন্দন ও গা-ছমছমে হয়ে ওঠে। 'ওনিবাবা' একটি এমন সিনেমা যা তার সীমাবদ্ধতাগুলোকে জয় করে তৈরি করে বেঁচে থাকার এক ভয়াবহ কাহিনী—যেখানে আতঙ্ক হয়ে ওঠে বেঁচে থাকার অস্ত্র, আবার ধ্বংসের কারণও।
৮. ইনভেইশন অব দ্য বডি স্ন্যাচার্স (১৯৫৬)
ডন সিগেল পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। যদিও নির্মাতারা সরাসরি এটি স্বীকার করেননি, তবে সিনেমাটি স্পষ্টভাবে কোল্ড ওয়ার চলাকালীন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও জনমনের ভয়ভীতির প্রতিফলন। এটি এমন একটি সিনেমা যাকে কেউ দেখতে পারেন কমিউনিজম বিরোধী হিসেবে, আবার কেউ দেখেন ম্যাকার্থিবাদবিরোধী হিসেবে—এটা নির্ভর করে আপনি মূল চরিত্রের বিপদের ব্যাখ্যা কীভাবে করছেন।

মূলত ফিল্ম ন্যুয়ার কৌশল ব্যবহার করে সায়েন্স ফিকশনকে হররের স্তরে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সিনেমাটি একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করে। যদিও হেইস কোডের হস্তক্ষেপে পরিচালক সিগেলের পরিকল্পিত মূল শেষাংশ বদলে যায়, তবুও সিনেমাটির আতঙ্ক তৈরি ও সমাজ মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ আজও দর্শককে নাড়িয়ে দেয়। এই সিনেমায় একটি প্রেমের গল্পও রয়েছে, যা গভীরভাবে আকর্ষণীয়। এই ধারা-বিস্তারমূলক নির্মাণশৈলীই একে ৫০-এর দশকের শ্রেষ্ঠ হরর সিনেমাগুলোর একটি করে তোলে।
৯. ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন (১৯৩১)
'ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন' ছিল তার সময়ের অন্যতম বড় হরর হিট। এটি মেরি শেলি-র কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এবং একজন বিজ্ঞানীর গল্প বলে, যে লাশ থেকে একটি জীবন্ত সত্তা তৈরির চেষ্টা করে এবং তার সাফল্য এক ভয়ংকর পরিণতির দিকে গড়ায়।

বোরিস কারলোফের মনস্টার চরিত্রে অভিনয় ও জ্যাক পিয়ার্সের অনন্য মেকআপ ডিজাইনের জন্য এটি প্রশংসিত হয় এবং সময়ের নিরিখে এক প্রকৃত হরর মাস্টারপিসে পরিণত হয়। তবে এটির গভীরতা শুধু ভয়েই নয়—এটি একটি শোকগাথাও। প্রায় এক শতাব্দী পরে এসেও এটি আজও হররের এক অনন্য নিদর্শন। এটি কেবল এক দানবের দৌরাত্ম্যের গল্প নয়, বরং নিঃসঙ্গতা ও বৈজ্ঞানিক নিষ্ঠুরতার ট্র্যাজিক প্রতিফলন।
১০. ক্যাট পিপল (১৯৪২)
সাসপেন্স-নির্ভর চলচ্চিত্রের এক ক্লাসিক উদাহরণ হলো 'ক্যাট পিপল'—যা আজও দর্শকের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে সক্ষম। যখন আরকেও স্টুডিওস ধ্বংসের মুখে, তারা ভ্যাল লুটনকে দায়িত্ব দেয় একটি স্বল্প বাজেটের হরর সিনেমা বানানোর। এটি তার প্রযোজনায় প্রথম হরর সিনেমা এবং এটি এতটাই সফল হয়েছিল যে স্টুডিওটি রক্ষা পেয়েছিল। বলা হয়, 'ক্যাট পিপল' প্রায় 'জাম্প স্কয়ার' ধারণার জন্ম দিয়েছিল।

পরিচালক জ্যাক ট্যুরনিউর ও লুটনের প্রথম যৌথ কাজ এটি, যা হরর ঘরানায় স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বাজেট কম থাকায় তারা দৃশ্য দেখানোর বদলে ইঙ্গিতের ওপর নির্ভর করে আতঙ্ক তৈরি করেন। ভয়াবহ দৃশ্যের পরিবর্তে অফস্ক্রিন শব্দ ও অন্ধকারে গা-ছমছমে পরিবেশ ব্যবহার করে ভয়ের আবহ গড়া হয়।
Comments