‘বাচ্চাদের ছবিগুলো দেখে অসহায় লাগছে’ তারকাদের শোক

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ শোকাহত।
শোবিজ জগতের তারকারাও শোক জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কয়েকজন তারকা দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
শাহনাজ খুশি
দুর্ঘটনার কথা শুনে ও নিউজে দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এতটাই খারাপ লাগছে, নিতে পারছি না। প্রত্যেকটা সন্তানকে আমার নিজের সন্তান মনে হচ্ছে। যাদের ছোট ছোট শিশু সন্তান এমন ভয়াবহ ঘটনার শিকার হলো, তারা কীভাবে মেনে নেবেন? আমরাই মেনে নিতে পারছি না। আজকে যেসব মায়ের বুক খালি হলো, তাদের অবস্থা ভেবে বুকের মধ্যে হাহাকার করছে। আর যারা শুধু ভিউয়ের জন্য ভিডিও করে ফুটেজ ছাড়ছেন, এটা বন্ধ করুন প্লিজ। যে কেউ এসব ফুটেজ দেখলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
রোজিনা
একটা আতঙ্ক-ভয়ের মধ্যে আছি। ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে পড়ালেখা করে। ওদের কথা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। বাচ্চাদের ছবি টেলিভিশনে দেখতে পারছি না। একটু দেখার পর অস্থির হয়ে যাচ্ছি। শোক জানানোর ভাষা নেই। এমন ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। যাদের সন্তান হাারিয়েছে, তাদের কোনো ভাষা দিয়ে শান্ত্বনা দেওয়া সম্ভব না। কতগুলো ফুল ঝরে গেল। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে শোক সইবার শক্তি দিক।
জয়া আহসান
সত্যি কথা বলতে আমি টেলিভিশনের দিকে তাকাতে পারছি না। এতগুলো শিশুর এমন দুর্ভাগ্যজনক বিদায়, কীভাবে মেনে নেওয়া যায়! বাচ্চাদের মা-বাবারা তাদের শূন্যতার ভার বইবেন কেমন করে। তাদের মনে শক্তির সঞ্চার ঘটুক। যে বাচ্চারা আহত হলো, তারা যেন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তাদের জন্য প্রার্থনা। অনেকটা অসহায় লাগছে বাচ্চাদের ছবি দেখে।
ফজলুর রহমান বাবু
মন খারাপ, আমি তো বলব পুরো দেশের সবার মন খারাপ। ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। যারা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আমাদেরই সন্তান। আমাদের আপনজন। যে কষ্ট আজ পেলাম, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষ এই কষ্ট পাচ্ছে। আমার একটা কথা—এরকম জনবহুল নগরীতে প্রশিক্ষণ বিমান চালানো কতটা যুক্তিযুক্ত? নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ ভাববে। এখন ভাবার সময়। যাদের আপনজন হারালো তাদেরকে শোক সইবার শক্তি দিক সৃষ্টিকর্তা।
দীপা খন্দকার
আজকের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভীষণ বেদনার। যারা সন্তান হারিয়েছেন, তারা বুঝতে পারছেন কষ্ট কত ভয়াবহ রকমের। দেখুন, এই ঘটনা যেকোনো জায়গায় হতে পারত। যেকোনো স্কুল, অফিস, হাসপাতাল, বাড়ি, যেকোনো জায়গায়। কিন্তু এটা তো কাম্য নয়। আমার সন্তানেরা যে স্কুলে পড়ে, তার থেকে কিছু দূরেই মাইলস্টোনের ক্যাম্পাস। আমরা মৃত্যুর মুখে কে কখন পড়ে যাই, জানি না। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন। এমন জায়গায় কি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর কথা? যারা হাসপাতালে আছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যেন তাদের সেবা করা হয়।
সজল
প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। কিছু বলার মতো ভাষা নেই। মনটাই আজ ভেঙে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের ছবি দেখছি আর বুকটা ফেটে যাচ্ছে। অসহায় লাগছে। আল্লাহকে ডাকছি বারবার। এরকম ঘটনা যেন না ঘটে। যেসব মায়ের বুক খালি হলো, তাদেরকে সান্ত্বনা দেবেন কেমন করে? সৃষ্টিকর্তাই পারেন তাদের বেদনা দূর করতে। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকে এক ধরনের ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
Comments