‘নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ বেশি’

রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত

'পরাণ' ও 'দামাল' সিনেমায় অভিনয় করে সিনেমাপ্রেমীদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন রাশেদ মামুন অপু। ছোটপর্দায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অভিনেতা এরই মধ্যে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে ১৫টি মুক্তি পেয়েছে এবং ১২টি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার কথা বলেছেন রাশেদ মামুন অপু।

কোন ধরনের চরিত্রের প্রতি আপনার বেশি দুর্বলতা কাজ করে?

নেগেটিভ চরিত্রের প্রতি আমার ফোকাসটা বেশি। কেননা, নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ বেশি, চরিত্র নিয়ে খেলা করা সম্ভব, অভিনয়টা সুন্দরভাবে করা যায়।

আমি একজন অভিনেতা। অভিনয়টাই ভালো মতো করতে চাই। নিজেকে ক্যারেক্টার আর্টিস্ট মনে করি। কিন্তু, এই ধরনের আর্টিস্টের ওপর সেভাবে ফোকাস হয় না। তাই জোর দেই নেগেটিভ চরিত্রে।

 

গত ঈদে আপনার অভিনীত প্রহেলিকা ও লালশাড়ি নামের ২টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পেলেন?

ভালো সাড়া পেয়েছি, বিশেষ করে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত 'প্রহেলিকা' সিনেমা নিয়ে। 'প্রহেলিকা'য় আমি ডিবি কর্মকর্তা শরীফের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির অনেক লেয়ার আছে। কখনো একটু নেগেটিভ, কখনো সরল। প্রহেলিকার চরিত্রটি আমার ফিল্ম ক্যারিয়ারের সেরা চরিত্র।

রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত

দর্শকদের খুব কাছাকাছি নিয়ে গেছে কোন সিনেমাটি?

অনেকগুলো সিনেমা করেছি। সব পরিচালকের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তারপরও মনে করি, 'পরাণ' সিনেমাটি আমাকে বেশি পরিচিতি দিয়েছে।

এ ছাড়া, 'দামাল' সিনেমায় কুটু চরিত্রে অভিনয় করেছি। এটাও সেরা প্রাপ্তি। কুটু একজন রাজাকার। খুব সাড়া পেয়েছি এই চরিত্রে অভিনয় করে। আর 'পরাণ' সিনেমার তুজো চরিত্রটির কথা এখনো সবাই বলে।

আপনার স্বপ্নের চরিত্র কোনটি?

আমার কোনো স্বপ্নের চরিত্র নেই। যখন যে চরিত্র পাই, সেটাই স্বপ্নের চরিত্র। সবসময় আপকামিং চরিত্র নিয়ে থাকি।

নিজ শহর রাজশাহীতে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়?

জনপ্রিয়তাকে কখনো বিড়ম্বনা হিসেবে দেখি না, এটা বড় পাওয়া। রাজশাহী গেলে মানুষের যে ভালোবাসা পাই, সেটাই অনেক কিছু।

আমি পড়ালেখা করেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, আইন বিষয়ে। রাজশাহীতে আমার অনেক বন্ধু ও স্বজন আছে। ওখানে গেলে সবার কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পাই। ওই ভালোবাসাটাই শক্তি হিসেবে কাজ করে অভিনয় করার ক্ষেত্রে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

1h ago