‘আসুক না দশটা ভিনদেশি সিনেমা, টেনশনের কিছু নেই’

ফেরদৌস। স্টার ফাইল ফটো

অনেক দিন ধরেই এদেশে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল। সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ শর্তে উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, পরীক্ষামূলকভাবে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আগে আমদানি করা সিনেমার জন্যেও সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। অন্যদিকে ৩টি বড় উৎসবে- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও দুর্গাপূজায় উপমহাদেশীয় সিনেমা দেশে আমদানি করা যাবে না।

উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন নায়ক ফেরদৌস।

তিনি বলেন, 'আমি বাংলা সিনেমার পক্ষে। আমার দেশের সিনেমার পক্ষে। কিন্তু, এটাও বলব- সরকার অনুমতি দিয়েছে, আসুক না ১০টা ভিনদেশি সিনেমা, টেনশনের কিছু নেই। বহু বছর আগেও তো আমাদের দেশের সিনেমা ভারতীয় বাংলা ও উর্দু সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে ছিল এবং বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল। সেই সময়েই কিন্তু সোনালি দিনের সিনেমার জয়জয়কারও ছিল। তাই বলব, শর্ত সাপেক্ষে এবং পরীক্ষামূলকভাবে উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানি হোক।'

'আমাদের দেশে কিন্তু হলিউডের সিনেমা চলছে। তখন কোনো প্রশ্ন ওঠে না। অনেক দিন ধরেই এটা চলছে। দর্শকরা সেসব সিনেমা দেখছেনও। আবার ধরুন, একটা সময় ছিল কলকাতায় ওদের বাংলা সিনেমার অবস্থা খারাপ ছিল। পরে ওরা হিন্দি ও ভারতীয় অন্যান্য সিনেমা প্রদর্শন শুরু করে। এতে ওদের সিনেমার বাজার ভালো হয়েছে,' বলেন তিনি।

ফেরদৌস বলেন, 'এখনকার যুগে একজন মানুষ চাইলে যেকোনো দেশের সিনেমা দেখতে পারেন, কেননা রিমোট কন্ট্রোল তার হাতে আছ। বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। আমাদেরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেকোনো কাজ ভালো হয়। উপমহাদেশীয় সিনেমা এলে আমরাও একটা প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাব।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি মনে করি, এতে আমাদের দেশের সিনেমার কোনো ক্ষতি হবে না। আপাতত ২ বছর পরীক্ষামূলকভাবে অনুমতি মিলেছে। ২ বছর আমরা দেখি। এছাড়া আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে, বড় কোনো উৎসবে সেসব সিনেমা এখানে চলবে না। যেমন- দুই ঈদ এবং দুর্গাপূজায়। এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago