৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমার অবস্থান

কান চলচ্চিত্র উৎসবকে বুঝতে হলে নিজ সমাজের অবস্থানকে বুঝতে হবে। কেননা, এসব আয়োজনের অনেকগুলো ধাপ থাকে। জায়গাটা একই হলেও নিজের জ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্য চর্চার ওপর নির্ভর করবে আপনার যোগাযোগের অবস্থান। এই আয়োজনের ধাপ না বুঝলে আমরা কোথা থেকে শুরু করবো, সেই মেন্ডেট তৈরি করতে পারবো না। তখন সব কিছুই ভাগ্যের জন্য রেখে দিতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত

কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৬তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান হয় গত ২৭ মে। এবারের আসরের সেরার পুরস্কার 'পাম ডি'অর' জিতে নিয়েছে জাস্টিন ট্রিয়েটের ছবি 'এনাটমি অব এ ফল' এবং গ্র্যান্ড প্রিক্স পেয়েছে জোনাথন গ্লেজারের 'দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট' ছবিটি।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে আয়োজিত একটি চলচ্চিত্র উৎসব দক্ষিণ এশিয়ার ছোট একটি দেশ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?

এর সহজ উত্তর হচ্ছে, মানুষের জনপদের সভ্যতা টিকে থাকে সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এবং যে জনপদে মানুষ থাকবে, সেখানে সংস্কৃতি থাকবেই। সংস্কৃতি চর্চা একধরনের জাতীয় ও মানসিক বুদ্ধির চর্চা।

বিভিন্ন দেশের মানুষ ও জীবনযাপনের সংস্কৃতি উপস্থাপনের একটি উপলক্ষ হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বিশ্ব উৎসবের আয়োজন। ঠিক যেমনটা হয় ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপে।

খেলাধুলা সংস্কৃতির অংশ হলেও লেখালেখি বা সিনেমার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। খেলাধুলায় একটা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তার বিভিন্ন রকম প্রয়োগ হয় কঠোর শরীরচর্চার মাধ্যমে। কিন্তু, শিল্প-সাহিত্যে মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা বোঝা বা অর্জন করা ছাড়া কোনো দক্ষতা বা মেধা দেখানো সম্ভব নয়।

এ জন্য সমাজে সার্বজনীন জ্ঞানের সরবরাহ নিশ্চিত না হলে শিল্প-সাহিত্যকে মনে হয় অহেতুক কোনো সামাজিক বোঝা। কিন্তু শিল্প-সাহিত্য মত প্রকাশের সঙ্গে বুদ্ধি, জ্ঞান ও নতুন কিছু তৈরিকে আরও শক্তিশালী করে।

এক কথায় বলতে গেলে, শিল্প-সাহিত্য নিজের পরিচয়কে মেধার বিকাশ ও প্রকাশের মাধ্যমে তুলে ধরে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই প্রকাশ মাধ্যমে লেখালেখির পরে বিশেষ এক জায়গা করে নিয়েছে সিনেমা। মানুষের কল্পনার বহিঃপ্রকাশের চলমান চিত্রও বলা যেতে পারে সিনেমাকে।

পৃথিবীর সফট পাওয়ারের সবচেয়ে বড় মুদ্রা হচ্ছে সংস্কৃতি চর্চা। এ জন্যই কে-পপ দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মাঙ্গা-এনিমে দিয়ে জাপান তরুণদের মধ্যে মানসিক চিন্তার অবস্থানে রাজত্ব করছে। ফলে, এসব দেশ নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মননে এক ধরনের স্বপ্ন বা ঘোর অজান্তেই তৈরি হয় এবং তারা সেইসব দেশ নিয়ে চিন্তা করে কিংবা সেখানে গিয়ে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। তরুণ প্রজন্মের এমন স্বপ্ন সেই দেশকে মেধা ও শ্রম সংগ্রহে সাহায্য করে।

অপরদিকে, এসব তরুণ ও সমাজের মানুষের নিজ সংস্কৃতি চর্চা থেকে বঞ্চিত হলে পরিচয় সংকটে ভোগে। তারা দ্বৈত চরিত্র ধারণ করে। যেমন: এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমাদের এলিট শ্রেণী—যারা মূলত দেশীয় উৎসবগুলো পরিচালনা করেন—বিদেশিদের সামনে অন্য বাঙালিদের সঙ্গে খুব বেশি বাংলা বলছেন। অথচ এই আমরাই নিজ দেশে বসে সন্তানদের ইংরেজি শেখাতে উঠে-পড়ে লাগি।

আগেই বলেছি, নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় মুক্ত ভাবনা এবং অংশগ্রহণে গণতন্ত্র না থাকলে নকল বা অন্য সংস্কৃতি থেকে ধার করে চলতে হয়। গত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ থেকে নিজের টাকা খরচ করে হলেও মিডিয়াকর্মী ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভিড় জমাচ্ছেন সাংবাদিকরা। এই উদ্যোগ সাধুবাদের যোগ্য হলেও, তাদের লেখায় কি আদৌ নতুন কিছু আছে? তারা যা লিখছেন, ইন্টারনেট ঘটালেই সেগুলো বিভিন্ন ভাষায় পেয়ে যাবেন।

এর দায় অবশ্য এই সাংবাদিকদের দেওয়া যাবে না। কারণ, একটা সমাজের সাফল্য যদি হয় ভেলকিবাজি, অথবা টাকাই যদি সব হয়, তখন মানুষ চিন্তার উৎকর্ষতা চর্চা করে না। এ জন্যই কানের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন এবং বিভিন্ন কোম্পানির স্মারক ও স্পন্সর দেখে যখন অন্য দেশের সাংবাদিকরা বাণিজ্যিকীকরনের প্রশ্ন তুলছে, তখন আমরা সেই আলোয় ছবি তুলে একই বার্তা বা তাদের লেখাই বাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করছি। তাহলে সশরীরে ওই আয়োজনে উপস্থিত থেকে লাভটা কী?

আর যে এলিটরা যাচ্ছেন তারা আসলে কী শিখছে বা কী অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছেন?

বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র উৎসবেই ঠিকভাবে সিনেমা প্রোজেক্ট করে না। শব্দের কথা আর না-ই বললাম। অথচ, আমাদের চমৎকার সিনেমা হল ছিল। প্রত্যেক সপ্তাহে পরিবার নিয়ে সিনেমা হলে যাওয়ার ছিল যেন রীতি।

আমাদের রাজধানী ও দেশের নামে যে চলচ্চিত্র উৎসবগুলো আছে, সেগুলো যদি অফিসের প্রোজেক্টরে সিনেমা প্রোজেক্ট করে, তাহলে নতুনরা সিনেমার কালার ও প্রযুক্তি সম্পর্কে কেমন ধারণা পাবে? অথবা বহির্বিশ্বের মানুষই বা কেমন ধারণা নিয়ে যাবে?

অথচ, নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সুযোগ ছিল, কান চলচ্চিত্র উৎসব কীভাবে গত ৭৬ বছর ধরে টিকে আছে এবং পৃথিবীর সংস্কৃতিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।

কান কর্তৃপক্ষ মেধা, শিল্প ও বিজ্ঞানকে এক করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সময়ের সঙ্গে তারা এর ধরন ও প্রযুক্তি উন্নত করেছে। সিনেমা দেখানো এক সামাজিক রীতিতে পরিণত করেছে। আর এ জন্যই সিনেমার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দর্শক থেকে শুরু করে সবাইকে অফিসিয়াল স্যুট-প্যান্ট পড়ে হাজির হতে হয়। এ নিয়ে অনেক ধরনের পক্ষে-বিপক্ষে মতবাদ থাকলেও, সিনেমা ও সংস্কৃতির চর্চার প্রতি সম্মানের একটা নিদর্শন এতে পাওয়া যায়।

এগুলো নিয়ে চিন্তার বিশ্লেষণ হতে পারতো। আলোচনা হতে পারতো, কীসের ভিত্তিতে তারা সিনেমা নির্বাচন করছে; আমেরিকা আর ইউরোপের সিনেমার দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য কী।

আগেই বলেছি, সংস্কৃতি ছাড়া কোনো সভ্যতা পাওয়া যাবে না। যদি সংস্কৃতি ছাড়া সভ্যতা না-ই পাওয়া যায়, তাহলে কোনো একটি নির্দিষ্ট জনপদের সভ্যতা টিকে থাকা বা না থাকার প্রশ্ন কেন আসে? এর কারণ, সংস্কৃতি চর্চায় নিজ জলবায়ু থেকে শুরু করে মাটি, পানি, জীবজগৎকে যদি প্রাধান্য না দেওয়া হয়, তাহলে সেই জনপদের সংস্কৃতি হবে ধার করা সংস্কৃতি। সংস্কৃতি বোঝার সহজ উপায় হচ্ছে, সেই দেশ বা অঞ্চলের ভাষা। পৃথিবীর যত জাতি এবং সীমানা আছে, তার ভাগ হয়েছে ভাষা দিয়ে এবং সেই ভাষাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি দিয়ে।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে কান শহরে লাখো মানুষের জমায়েত হয়েছে। কিন্তু, সেখানে কেউ পথে-ঘাটে বা সমুদ্র পাড়ে ময়লা ফেলেনি। এমনকি, যারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান থেকে গেছে তারাও দেশটির নিয়ম মেনে চলেছি। কেন? কারণ, দেশটির মানুষ জলবায়ু ও মানুষ সম্পর্কে পড়াশোনা করেছে। তারা সেই শিক্ষা বইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় জীবনে ব্যবহার করেছে।

উদাহরণ হিসেবে তাদের টিকেটের কথা বলা যেতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের জন্য সাধারণত কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রবেশ টিকেট ফ্রি থাকে। কিন্তু, এবার তারা সেই টিকেটে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার টাকা 'কার্বন কর' ধার্য করেছে।

তাদের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে তাদের নিজ পরিবেশ নিয়ে চিন্তার গভীরতা ও চর্চার অগ্রসরতা। যদি তারা নিজেদের জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হতো, তাহলে হয়ত আমাদের মতো দেশ থেকে বেশি টাকা আয় করার পন্থা হিসেবে কোনো কার্বন কর না রেখেই টিকেট মূল্য নির্ধারণ করতো অথবা কান সমুদ্রে অবস্থিত পাম বা খেজুর গাছগুলো কেটে আরও মানুষ এনে আয় করার চিন্তা করতো।

সংস্কৃতি চর্চা ছাড়া কখনই কোনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। অথবা বলা যায়, সংস্কৃতি চর্চা দিয়ে কোনো দেশের গণতন্ত্রের মান সহজেই নির্ধারণ করা যায়। যেমন: এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ কয়েকটি সিনেমা ছিল কালোদের জীবন ও তাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে। লিওনার্ডো ডিকাপ্রিও অভিনীত মারটিন স্করসিজের পরিচালনায় 'কিলার অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন'র বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকার ন্যাটিভ অধিবাসীদের ওপর অত্যাচারের গল্প। চিন্তায় স্বাধীন হতে পেরেছে বলেই তাদের অতীতের অত্যাচার এবং নির্মমতা সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরার সাহস অর্জন করতে পেরেছে।

মিডিয়া সমাজের আয়না। সেই আয়নায় নিজের চেহারা দেখার সাহস তখনই হয়, যখন সেই সমাজে যৌক্তিক সমালোচনার অবস্থান থাকে। অথচ, আমাদের দেশে এখনো সেন্সর বোর্ড নামের একটা প্রতিষ্ঠান ছবি মুক্তি পাবে কি পাবে না, তা নির্ধারণ করে। এমন চর্চা করা সমাজ থেকে যদি কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আয়োজনে যাওয়া হয়, তাহলে কি ওই আয়োজনের বাহ্যিক চাকচিক্য ছাড়া আর কিছু বোঝা যাবে?

ইউরোপের প্রায় সব দেশে খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু, এসব দেশ ধর্ম নয়, বরং ভাষা ও সংস্কৃতির হিসেবে ভাগ হয়েছে। তাদের অবকাঠামো একই ধাঁচের মনে হলেও, চিন্তায় রয়েছে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

আমরাও কিন্তু এমনই ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চায় আমরা ছিলাম মুক্ত। এ জন্যই ৫২ ও ৭১-এ ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যুদ্ধ করেছি। কিন্তু, আস্তে আস্তে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির দিকে মনোযোগ কমে তথাকথিত উন্নয়নে নজর দিয়েছি। ফলে আমরা স্বাধীন হলেও নিজেদের জাতীয় সত্ত্বা হারিয়ে ফেলেছি। উদাহরণসরূপ বলা যায়, পুরো লন্ডন জুড়ে চমৎকার সব বাঙালি রেস্টুরেন্ট চমৎকার সব বাঙালি রান্নার পদ বিক্রি করে বিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতীয় নামে এসব প্রতিষ্ঠান চালাতে হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের পিছিয়ে পড়া। সংস্কৃতি চর্চা না হলে কোনো দেশের ব্রান্ডিং হয় না।

বাংলাদেশের মতো ছোট একটা দেশে প্রায় ১৮ কোটির মতো জনসংখ্যা। একটা সময় পর্যন্ত আমাদের জাতীয় টেলিভিশন পুরো জাতিকে চমৎকার সব অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে উন্নত হওয়ার বদলে তা এক অর্থে প্রোপাগান্ডা মেশিনে রূপান্তর হয়েছে। ১৮ কোটি মানুষের মানসিক চাহিদা পূরণে আমরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি বলেই আমাদের সমাজে তরুণরা আজ জীবনের স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে।

সিনেমার উৎসবের সঙ্গে এসব বিষয়ের সম্পর্ক খুঁজতে পারেন। সিনেমা হচ্ছে একটি মাধ্যম, যা ব্যবহার করে আমরা আসলে সমাজের মানুষেরই কথা বলি। গত ৩০ বছর ধরে আমাদের সিনেমা আটকে আছে মা, প্রেম-ভালোবাসা এবং খুনাখুনিতে। সিনেমা যেহেতু একটা সমাজ ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে, তাই আমাদের সিনেমা দেখলেই বোঝা যায় যে আমাদের সমাজ কোথায় আছে।

সংস্কৃতি চর্চা দিয়ে সেই সমাজ ও সমাজের মানুষের মনোভাব বোঝা যায়। সমাজ যদি সত্য চর্চা করে, তাহলে সেই সমাজের সংস্কৃতি হবে সৃজনশীল ও নকল বর্জিত। সৃজনশীল ও নকল বর্জিত সমাজের মানুষের মানবিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায় হাজার গুণ। তারা নিজেদের সম্পর্কে জানতে শেখে এবং প্রশ্ন করতে শেখে। কিন্তু নকল করা সমাজ সমালোচনা থেকে দূরে থাকে।

কান চলচ্চিত্র উৎসবকে বুঝতে হলে নিজ সমাজের অবস্থানকে বুঝতে হবে। কেননা, এসব আয়োজনের অনেকগুলো ধাপ থাকে। জায়গাটা একই হলেও নিজের জ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্য চর্চার ওপর নির্ভর করবে আপনার যোগাযোগের অবস্থান। এই আয়োজনের ধাপ না বুঝলে আমরা কোথা থেকে শুরু করবো, সেই মেন্ডেট তৈরি করতে পারবো না। তখন সব কিছুই ভাগ্যের জন্য রেখে দিতে হবে।

এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমার ছবি 'ঢাকা' নিয়ে সহপ্রযোজক খুঁজতে গিয়েছিলাম লিথুনিয়ার প্রযোজকের হয়ে। কিন্তু, আশা আছে একদিন বাংলাদেশের হয়ে আমন্ত্রিত হবো এবং আমার সঙ্গে আরও নতুন বাঙালি তরুণরাও আমন্ত্রিত হবে।

নুরুজ্জামান খান; মিডিয়া গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং শিক্ষক, হাঙ্গেরিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ফাইন আর্টস

Comments