বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে হলিউডের ডকুমেন্টারি ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’

ডকুমেন্টারিটি আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে হলিউডের ডকুমেন্টারি ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’
ছবি: সংগৃহীত

একদল হ্যাকার কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় এবং হ্যাকারদের সামান্য একটি ভুল টাইপের কারণে আরও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষা পায়। অবিশ্বাস্য সেই গল্পটি এবার উঠে এসেছে সিনেমার পর্দায়।

এ বিষয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট থেকে তৈরি ও পরিচালক ড্যানিয়েল গর্ডনের নির্মিত আসন্ন 'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' ডকুমেন্টারিটি মনে করিয়ে দেয় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা কতটা বাস্তব ছিল। 

সারা বিশ্বকে নাড়া দেওয়া এই ঘটনার পর বিশ্বের সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা কী পরিমাণ সতর্ক হয়ে উঠেছিলেন; তারও একটা উদাহরণ এটি।

'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে কীভাবে হ্যাকাররা সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। তারা সারা বিশ্বের মেসেজিং নেটওয়ার্ক ব্যাংকগুলোকে একে অপরের সঙ্গে ট্রান্সফার করে। এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে ১০১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলে।

বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং লেখক মিশা গ্লেনির সঙ্গে একাধিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে 'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকাতিকে একটি ডেটা পয়েন্ট হিসেবে একটি বৃহত্তর ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার ক্রাইম কতটা পরিশীলিত এবং প্রচলিত হয়ে উঠেছে।

ট্রেলারে গ্লেনির দাবি, সমন্বিত সাইবার আক্রমণগুলো মানবতার জন্য একই ধরনের হুমকি তৈরি করে; যেমনটা করে থাকে মহামারি, গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো।

'বিলিয়ন ডলার হাইস্ট' তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং পরবর্তীতাদের এ ধরনের আক্রমণের জন্য হ্যাকারদের উৎসাহী করে তোলে।  

ডকুমেন্টারিটি আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে। 

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া রিজার্ভের অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে সেগুলো ব্যয় করা হয়। 

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক (হিসাব ও বাজেট) জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরসিবিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাঠানো আরও ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে চুরি হওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারের জন্য মামলা করে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago