খুলনার ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া হচ্ছে সোমবার

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
খুলনা
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরবেদকাশির কাঠকাটা গ্রামের সাকবাড়িয়া নদীর পাড় থেকে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে খুলনা জেলা প্রশাসন।

জেলার ৯টি উপজেলার দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল সোমবার থেকে জেলার ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া হচ্ছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ করে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের যাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবে।

এদিকে, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আজ সারাদিন খুলনার আকাশ মেঘলা ছিল। মাঝে মাঝে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। খুলনায় উপকূলের নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে এক-দেড় ফুট বেশি পানি বেড়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবাসী। ষাটের দশকে তৈরি হওয়া বেড়িবাঁধগুলো দুর্বল ও সংস্কারহীন থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় থাকেন তারা।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতাধীন প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার, আর খুলনা জেলায় ৫২২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ রয়েছে যা ষাটের দশকে নির্মিত। এরপর এখানকার এই বেড়িবাঁধ গুলো আর পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।

Comments