দুর্যোগপ্রবণ বরগুনায় নেই আবহাওয়া অফিস

দেশের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী জেলা বরগুনা। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এ জেলায় লঘুচাপ, নিম্নচাপ লেগেই থাকে। দুর্যোগপ্রবণ হওয়া সত্ত্বেও বরগুনায় কোনো আবহাওয়া অফিস নির্মাণ হয়নি। এতে সময় মতো সঠিক পূর্বাভাস না পেয়ে বার বার বিপর্যস্ত হচ্ছে এই জনপদ।
বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বরগুনার বিষখালী নদী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী জেলা বরগুনা। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এ জেলায় লঘুচাপ, নিম্নচাপ লেগেই থাকে। দুর্যোগপ্রবণ হওয়া সত্ত্বেও বরগুনায় কোনো আবহাওয়া অফিস নির্মাণ হয়নি। এতে সময় মতো সঠিক পূর্বাভাস না পেয়ে বার বার বিপর্যস্ত হচ্ছে এই জনপদ।

স্থানীয়রা জানান, দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে বরগুনা চিহ্নিত হলেও এখন পর্যন্ত এখানে আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস নির্মিত হয়নি। এতে সময়মতো পূর্বাভাস না পেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, জেলে ও কৃষক।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, 'সঠিক সময়ে আবহাওয়ার সংকেত না পাওয়ায় গভীর সাগরে থাকা জেলেদের তথ্য দিতে পারি না। তাই ঝড়ের কবলে পড়ে প্রতি বছর বহু জেলে ট্রলারডুবিতে মারা যাচ্ছেন। সংকেত না জেনে তারা ঝড়ের মধ্যে সুন্দরবনসহ ঝুঁকিপূর্ণ সাগর এলাকায় আশ্রয় নেন। অনেক সময় ভাসতে ভাসতে ভারতেও চলে যায়। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলায় আবহাওয়া অফিস নির্মাণ অতি জরুরি।'

বরগুনা জেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরদার বলেন, 'আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস না থাকায় জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় আমাদের। আবহাওয়ার তথ্য ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতে যে সময় লাগে, ততক্ষণে আবহাওয়া অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই বরগুনায় আবহাওয়া অফিস স্থাপন জরুরি। ঝুঁকিপূর্ণ এ জেলায় আবহাওয়া অফিস স্থাপন মানুষের প্রাণের দাবি।'

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, 'বরগুনা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। প্রতি বছরই বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এ অঞ্চলে। জানমালের অনেক ক্ষতি হয়। তাই এখানে একটি স্থানীয় আবহাওয়া অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন। বিষয়টি দ্রুত সরকারের নজরে আনা হবে।'

Comments