ঈদের আগে উত্তরাঞ্চলের যেসব এলাকায় সাময়িক বন্যার আশঙ্কা

বন্যার আশঙ্কা
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনার পানি বাড়ছে। ১৮ জুন ২০২৩। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

উজানের পাহাড়ি ঢলে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

আজ সোমবার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা ও যমুনার পানি।

ক্রমাগত পানি বাড়লেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহে এসব এলাকায় বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই।

গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় যমুনার পানি প্রায় আরও এক মিটার বেড়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৮৫ মিটার। আজ একই সময়ে সেখানে পানি বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ মিটার।

গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২২-২৩ জুন কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো ব্রহ্মপুত্রের পানিতে সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। তবে ওই অঞ্চলে আগামী ২ সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।'

বন্যার আশঙ্কা
উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোয় যমুনার পানি বেড়ে আগামী ২২-২৩ জুন নাগাদ সাময়িক বন্যা হতে পারে। তবে ওই অঞ্চলে আগামী ২ সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে।

গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি, জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোয় যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

এই দিকে ঈদের আগে বন্যার সংখ্যা থাকায় বিপাকে পরে গেছেন বগুড়ার চরাঞ্চলের মানুষ।

বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার চর বাটিয়ার রাবেয়া খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানুষ যখন ঈদের আনন্দ করবে তখন আমাদের চিন্তা করতে হবে গবাদি পশু ও শিশুদের নিয়ে। গবাদি পশুর খাবারের দাম অনেক। বন্যা হলে খুব বিপদে পড়ে যাব।'

একই এলাকার পাখির চরের মামুনুর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৩ দিন ধরে নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ঈদের আগে বন্যা হলে চরাঞ্চলের মানুষের খুব কষ্ট হবে। কম দামে গরু-ছাগল বেচে দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

8h ago