৫ দিনের ভারী বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধস, আহত ৬

পাহাড়ে ও নদীর নিকটবর্তী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ঘর পাহাড় ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ঘটনায় অনেকে আহত হচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে ৬ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ৩টায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

পাহাড় ধসে আহতদের মধ্যে রুমি আক্তার (২৮) বান্দরবান পৌরসভার কালা ঘাটা বীরবাহাদুর নগর এলাকার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৪ জন নাইক্ষ্যংছড়ি ও ১ জন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

পাহাড়ি ঢল নেমে সাঙ্গু নদী কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ইকবাল বলেন, 'আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড় ধসে আহত হয়ে রুমি আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে, তবে গুরুতর আহত হননি।'

৫ দিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে সাঙ্গু নদী কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সদর উপজেলার কাশেম পাড়া, বীরবাহাদুর নগর, কানাপাড়া, লেমুঝিরি, ক্যাচিংঘাটার নতুনপাড়া, মিলনছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পাহাড়ের পাদদেশ ও নদীর নিকটবর্তী এলাকায় ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও সরিয়ে নিতে অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিলিটার এবং গত ৪ দিনে জেলায় প্রায় সাড়ে ৪০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আরও ৫ থেকে ৬ দিন স্থায়ী হতে পারে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, 'জেলা সদর ও উপজেলা সদরসহ মোট ১৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত ৯টি পরিবারের ৩৫ জন সদস্য এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka set to soar as developers have their way

Bowing to persistent demands from real estate developers, the government has decided to raise the limit on how much floor space can be built on a piece of land -- known as the Floor Area Ratio (FAR) -- in most parts of the capital.

9h ago