তিস্তার ভাঙন ঝুঁকিতে পাউবোর স্পার বাঁধ

‘এই বাঁধের কারণে বন্যা ও নদীভাঙন থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ রক্ষা পাচ্ছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে আমরা সীমাহীন ক্ষতির মুখে পড়ব।’
রাজারহাট উপজেলায় তিস্তাপাড়ে বুড়িরহাট স্পার বাঁধটি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তাপাড়ে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্পার বাঁধ। এই বাঁধ ভেঙে গেলে উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হবে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্লাবিত হলে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমিতে বালু জমে তা হয়ে উঠবে অনাবাদি।

বাঁধটি রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলেছে পাউবো।

রাজারহাট উপজেলায় তিস্তাপাড়ে বুড়িরহাট স্পার বাঁধটি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রাম পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুড়িরহাট স্পার বাঁধটি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ায় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। বাঁধটিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিস্তা নদীর পানির লেভেল বেড়ে যাওয়ায় বাঁধটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। আপাতত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে বাঁধটি রক্ষা করা হয়েছে।'

বুড়িরহাট এলাকার কৃষক মনসুর আলী মণ্ডল (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই বাঁধের কারণে বন্যা ও নদীভাঙন থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ রক্ষা পাচ্ছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে আমরা সীমাহীন ক্ষতির মুখে পড়ব।'

একই গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৬০) বলেন, 'পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো কাজ করছে না। বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সিসি ব্লক ফলে স্পার বাঁধটি রক্ষা করা না হলে এটি যেকোনো সময় তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।'

রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বলেন, 'বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যেকোনো উপায়ে বাঁধটি রক্ষা করা হবে।'

Comments