কয়রায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

খুলনার কয়রা উপজেলার অন্তত ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলার ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। 

এছাড়া ৯টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।

আজ সোমবার দুপুরে নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় বেড়িবাঁধ উপচে যাচ্ছে।

কয়রার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

নদীর পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালি (কোস্টগার্ড অফিস সংলগ্ন), মাটিয়া ভাঙ্গা, ছোট আংটিহারা, চোরা মুখা, বড় আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং মহারাজপুর ইউনিয়নের পবনা, কয়রা সদরের হামখুড়ার গড়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। 

পরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দিনভর বাঁধ মেরামতে অংশ নেয় ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

দক্ষিণ বেদকাশির ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুরে জোয়ারের প্রবল স্রোতে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পানি আটকাতে মাটি দেওয়া হয়েছে। রাতে জোয়ারে কী হয় কে জানে।'

এছাড়া, চরামুখা, গোলখালি, ঘড়িলাল, কোবাদকসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে বলেও জানান তিনি।

কয়রা সবুজ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে জানান, একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি ২-৩ ফুট বেড়ে কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, কয়রা ও মহেশ্বরীপুরের ১০ টি পয়েন্ট বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান বলেন, 'নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারের পানি বাড়লেই বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বেড়িবাঁধে পানি প্রবেশ ঠেকাতে মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ উঁচু করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে জরুরি মেরামত কাজ করা হচ্ছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago