উপকূলে বাতাসের বেগ ১২০ কিলোমিটার, সারারাত আতঙ্কে থাকব: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতে জোয়ার শুরু হলে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে সংবাদ ব্রিফিং করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান বলেছেন, 'ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমরা আতঙ্কের ভেতরে আছি, আতঙ্ক বাড়ার সম্ভাবনা আছে, সারারাত আতঙ্কে থাকব।'

আজ রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

আজ রাত ৮টার পর প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের উপকূলে আঘাত হানে।

প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান বলেন, 'এখন ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের মূলভাগ উপকূলে আঘাত করার পর বাতাস আরও বাড়তে পারে। ততক্ষণে জোয়ারের সময় হবে। তাই পানির পরিমাণও বাড়বে।'

তিনি বলেন, 'আমরা এখনো আতঙ্কের ভেতরে আছি, আতঙ্ক কাটেনি, বাড়ার সম্ভাবনা আছে, সারারাত আতঙ্কে থাকব।'

তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ রাত ১১টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। আর পরবর্তী ৩-৫ ঘণ্টায় সারা দেশের উপর দিয়ে এটি অতিক্রম করবে।'

'সারারাত আমরা আতঙ্কে থাকব' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এরপর সারা বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে। সেটাও একটা দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, পাহাড় ধস হতে পারে।'

প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূল এলাকায় ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ লাখ লোক সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও  উপকূল এলাকার স্কুলগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান বলেন, 'পুরো উপকূলীয় এলাকায় বাতাস বইছে, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। সাতক্ষীরা থেকে ভোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে, সেখানে সবার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

 

Comments