বন্যায় সিলেট বিভাগের ৮৮৯ বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত

বন্যার পানিতে ডুবে আছে বিদ্যালয় ভবনের নিচতলা। ছবি: সংগৃহীত

বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮৯টিতে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের বেশির ভাগই এখনো পানির নিচে।

সিলেট বিভাগে মোট বন্যার্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন। বন্যার সময় গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮২০ জন।

এর মধ্যে সিলেটে ১৬৪টি, সুনামগঞ্জে ৫৯টি, হবিগঞ্জে আটটি ও মৌলভীবাজারে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে।

বন্যায় সিলেটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওর তীরের ভূকশিমইল, বাদে ভূকশিমইল, নওয়াগাঁও, রহমানিয়া, শাহমীর, উত্তর শশারকান্দি, শশারকান্দি, কালেশার, জাবদা, কাইরচক, মদনগৌরী, গৌঁড়করণ, মুক্তাজিপুর, কানেহাত, মনসুরগঞ্জ, চিলারকান্দি, আমতৈল, রাউৎগাঁও, গৌরিশংকর, আলমপুর, রহমত মিয়া, মীরশংকর, রাবেয়া আদর্শ, মুহিবুর রহমান, শংকরপুর, ছকাপন, গুপ্তগ্রাম ও ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগের নিচতলায় হাঁটুপানি রয়েছে। বন্যার পানির মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে বিদ্যালয়গুলো।

এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে কুলাউড়ার রাবেয়া আদর্শ, বশিরুল হোসেন, কুলাউড়া গ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।

আজ বৃহস্পতিবার গৌরকরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রন্টু রঞ্জন চন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলের সামনের রাস্তা থেকে পানি নামছিল। এর আগেও দুই-তিনবার ক্লাসরুম পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, টানা বৃষ্টির কারণে আবারও পানি উঠে গেছে এবং নিচতলা আবারও পানিতে তলিয়ে গেছে।'

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ে সিলেট বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেন, 'আমরা প্রায় ২০টি নদী খননের পরিকল্পনা করছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

1h ago