ভাঙল হাওড়া নদীর বাঁধ, ভাসল ৩৪ গ্রাম

ভেঙে যাওয়া বাঁধ। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের ৩৪টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

এছাড়া বুধবার রাতে ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজী গাঙসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদৎসীমার কাছাকাছি আছে। পানি বাড়লে নতুন করে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন জানায়, বুধরাত রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রামগুলো তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকার ধান ও সবজির খেতসহ অনেক মাছের ঘের।

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকালে আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর,  কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। পানির তোড়ে ভেঙে যায় আব্দুল্লাহপুর এলাকার অস্থায়ী বেইলি সেতু। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে রওনা হয়েছেন। তিনি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বন্যাকবলিত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেবেন। এছাড়া দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাক-সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর রোপা আমনের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকবে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতি বাড়বে।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago