ফটিকছড়িতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা, পানি কমছে রাঙ্গুনিয়ায়

ফটিকছড়ির বন্যাচিত্র। ছবি: স্টার

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও রাঙ্গুনিয়ার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান।

ইউএনও দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখনো রাঙ্গুনিয়ার ৪টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। বাকি ইউনিয়নগুলোতে পানি নেমে গেছে। ওই এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করেছে।'

এদিকে ফটিকছড়ির ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, বন্যায় পানির স্তর না বাড়লেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনো এই উপজেলার দেড় লাখ লোক পানিবন্দী আছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এসব দুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বাংলাদেশ যে আরেক দফা বন্যার কবলে পড়তে পারে, আগস্টের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেই তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু সেই বন্যা যে এমন প্রলয়ঙ্করী রূপ নিয়ে আবির্ভূত হবে, তা কল্পনাও করেনি দেশের মানুষ।

উজানে অতি ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক এ বন্যায় একদিনের ব্যবধানে দেশের অন্তত ১১টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এ মুহূর্তে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার পানিবন্দী।

আর এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

Political risks threaten to hurt reforms

Bangladesh faces a convergence of political volatility and global trade headwinds that could derail its reform agenda and obstruct recovery from an economic slowdown, the World Bank has said in a new assessment.

9h ago