কুমিল্লায় পাঁচজন, কিশোরগঞ্জের তিনজন, নেত্রকোণা দুইজন এবং শরীয়তপুর, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, খুলনা ও চাঁদপুরে একজন করে মারা গেছেন।
হাওরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
গবেষণার এই ফলাফল বজ্রপাতের পূর্বাভাস ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
স্থানীয় সময় ১২টা ৪৯ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ইস্তাম্বুল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সিলিভরি এলাকায়। কেন্দ্রস্থলের গভীরতা ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ছয় দশমিক ৯২ কিলোমিটার গভীরে।
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, আরও একজন দগ্ধ হয়েছেন।
আজ বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে রমজানের শেষ দিকে জুমাতুল বিদার দিনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে ছিলেন বেশিরভাগ মুসল্লি।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে প্রাণহানি ১০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাব মিয়ানমারের জিডিপির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
জেলার লাখ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ভয়াবহ এই বন্যায় নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ভবানী-জীবনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এর পরে দুই-তিন ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নোয়াখালীর বন্যা কবলিত আটটি উপজেলার ৭৫ শতাংশ এলাকা পানির নীচে ছিল।
সব হারিয়েছেন কহুয়ার কৃষক ও খামারিরা। সর্বত্র পৌঁছায়নি ত্রাণ, বাড়ি ফিরতে অনাগ্রহ।
কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন এবং মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মরদেহ উদ্ধারের তথ্যে রীতিমতো তোলপাড় পুরো জেলা।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার অর্ণব মল্লিক।
তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহু ফসলি জমি।
এদিকে পানিতে ভিজে ধান নষ্ট হওয়ায় বছরের খোরাকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।