রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং রাত ১২টার পর বর্ধিত দামে তেল বিক্রির খবরে গতকাল রাজধানীর পাম্পগুলোতে ভিড় জমান গ্রাহকরা। ছবিটি রাত ১১টার দিকে ডেমরা লিংক রোড এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল আমিন/স্টার

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে আজ শনিবার অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ সময় মতিঝিল থানার করিম অ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের ২টি ডিসপেনসিং ইউনিট অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়। ১টি ডিসপেনসিং ইউনিটে প্রতি ৫ লিটার অকটেনে ৫৪০ মিলিলিটার ও অন্যটিতে ৪৯০ মিলিলিটার অকটেন কম পাওয়া যায়।   

অকটেন ডিসপেনসিং ইউনিটে (অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে) কারচুপি, ওজনে কম দেওয়া এবং বর্ধিত দামে অকটেন-ডিজেল বিক্রির উদ্দেশে গতকাল রাত ১২টার আগেই ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা ইত্যাদি অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে, ডিসপেনসিং ইউনিট ২টি থেকে অকটেন বিক্রি জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে রমনা ফিলিং স্টেশনে তদারকি চালানে হয়। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া গেলেও বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।

ফিলিং স্টেশনটিতে ২৭ হাজার ৬২৩ লিটার অকটেন মজুদ পাওয়া গেলেও, বিনা নোটিশে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে থেকে ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রবেশদ্বারে 'ভিআইপি চলাচলে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে তেল বিক্রি বন্ধ' লেখা টানানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। সত্যিই কোনো ভিআইপি চলাচল করেছেন কি না এবং সরকারের কোনো সংস্থা প্রতিষ্ঠানটিকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কি না সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো উত্তর দিতে পারেনি।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফিলিং স্টেশনটির কর্তৃপক্ষকে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসব অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাগফুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago