পদ্মা-গঙ্গায় যৌথ পানি পর্যবেক্ষণ শুরু

পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট। ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিদল ফারাক্কা পয়েন্ট এবং ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।

আজ রোববার সকাল থেকে পানি পর্যবেক্ষণের এই কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের (সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন) নির্বাহী প্রকৌশলী বসন্ত কুমার ভেঙ্কটেশ্বর এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক কুমার বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আড়াই হাজার ফুট উজানে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পানি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন।

একই সময়ে বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। বাংলাদেশের ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রকৌশলী শহিদুর রহমান।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি ও বাংলাদশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহ পরযেবখন করা হয়।

চুক্তির শর্ত থেকে জানা গেছে, প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কায় ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম পানির প্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই ৫০ শতাংশ করে পানি পাবে। দ্বিতীয় ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্টে ৭০ হাজার কিউসেক থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। তৃতীয় ১০ দিন ফারাক্কা পয়েন্টে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি পানিপ্রবাহ থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক পানি, বাকিটা পাবে বাংলাদেশ। তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ ৩ দফা ১০ দিনের হিসাবের ক্রমানুসারে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে।

হাইড্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। গত বছর এ সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল প্রায় ১ দশমিক ১০ লাখ কিউসেক। এ বছর আছে প্রায় ১ দশমিক শূণ্য ৬ লাখ কিউসেক।'

Comments

The Daily Star  | English

Baitul Mukarram to host five Eid jamaats

Prayer times: 7am, 8am, 9am, 10am, 10:45am

1h ago