চীনের পর রাশিয়ার সঙ্গেও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ইরান

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

সর্বাধিক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দুই দেশ রাশিয়া ও ইরান নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করেছে।

শুক্রবার মস্কোতে একটি 'সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি'-তে সাক্ষর করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইরানি ও রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, দুই দেশের বাণিজ্যিক ও সামরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার মতো অনেক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই চুক্তিতে।

রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, এই চুক্তির মেয়াদ ২০ বছর।

এর আগে ২০২১ সালে বেইজিংয়ের সঙ্গে ২৫ বছরের সহযোগিতা চুক্তি করেছিল তেহরান।

ইরানের চুক্তি সাক্ষরের পর পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, 'রাশিয়া, ইরান এবং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়নে বড় অগ্রগতির' পথ খুলে দিয়েছে এই চুক্তি। 

পেজেশকিয়ান বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পরিবহন ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়বে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জবাবে গত কয়েক বছরে বাণিজ্যিক ও সামরিক খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে এই দুই দেশ। ইউক্রেন যুদ্ধে সাহায্য করতে ইরান ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে। 

আল জাজিরা জানায়, নতুন এই চুক্তি নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলেছে। উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বর্তমান কাঠামো ২০০১ সালের একটি চুক্তির উপর ভিত্তি করে চলে এসেছে এতদিন।

এর আগে মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, 'রাশিয়া, ইরান এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে থাকা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রদের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে গঠনমূলক প্রকৃতির এই চুক্তি।'

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মুহূর্তে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রীয় লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Election Roadmap: BNP unhappy as Yunus gives no specific timeline

The election must be held by December, as any delay could cause the situation to spiral out of control, the BNP said after a meeting with the chief adviser yesterday.

7h ago