বংশীতীরের ৮ একর জমি দখলমুক্ত

‘নদীর প্রাণ ফিরে আসুক’

বংশী নদী
সাভারের নামাবাজারে বংশী নদীর তীর ভরাট করে গড়ে তোলা ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ছবি: স্টার

প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে সাভারে বংশী নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। টানা ৪ দিনের অভিযানে অন্তত ৮ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

এই অভিযানকে 'বহুল প্রতীক্ষিত' হিসেবে উল্লেখ করে সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা চাই নদীর প্রাণ ফিরে আসুক। দখলদারদের হাত থেকে নদী মুক্ত হোক।'

উচ্ছেদের পর যেন আবার সেই জমি দখল না হয়ে যায় সে দিকেও নজর রাখার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা জেলা প্রশাসন গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

সাভারে ব্যবসায়ের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী নামাবাজারের একটি অংশে বংশীর তীর ভরাট করে গড়ে তোলা ৩ শতাধিক পাকা, আধাপাকা ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বংশী নদী
সাভারে বংশী নদীর তীরে উচ্ছেদ করা স্থাপনা। ছবি: স্টার

পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সাভার পৌরসভা ও স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে সাভারের নদীগুলো থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।'

সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযানে প্রায় ৮ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ একর বংশী নদীর জমি ও বাকি ৪ একর সরকারি খাস জমি।'

উচ্ছেদকৃত এসব স্থাপনার সংখ্যা ৩ শতাধিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'সাভারের আশুলিয়া নয়ারহাট এলাকা বংশী নদীর জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে মাইকিং করা হয়েছে। খুব শিগগির সেখান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।'

নয়ারহাট এলাকায় বংশী নদীর তীরে ঠিক কত সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা আছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

সাভার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন দেওয়ান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাত্র একদিনের নোটিশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।'

৫ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, '২৭ অক্টোবর মাইকিং করে পরদিন অভিযান শুরু করা হয়। ব্যবসায়ীদের ১০০ কোটির টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন যদি কয়েকদিন সময় দিতো তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও কমানো যেত।'

স্থানীয় সূত্র ডেইলি স্টারকে জানায়, শুরুর দিকে এর অধিকাংশ স্থাপনা অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হলেও একসময় সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

7h ago