৫ বিভাগে আগামী ৩ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, লঘুচাপ বাড়াবে গরম

খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারো বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা।
ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

আগামী সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে বিদায় নেবে মৌসুমি বায়ু। শেষ সময়ে এসে স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছে বৃষ্টিপাত।

আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের পাঁচ বিভাগে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

এর পরে খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারো বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় আছে।

এর প্রভাবে আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাজধানী ঢাকায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এছাড়া, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর ও আশে পাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লঘুচাপ সৃষ্টি হলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে।

'লঘুচাপ গুরুত্বহীন হয়ে পড়লে আবার বৃষ্টিপাত বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। সাধারণত মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার সময় বৃষ্টিপাত বাড়ে,' যোগ করেন তিনি।

ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপরও গরমের অস্বস্তি কেন কাটছে না জানতে চাইলে বজলুর রশিদ বলেন, 'ঢাকায় আজ সকালে বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। আদ্রতা বেশি থাকার কারণে গরমের অস্বস্তিকর অনুভূতি হচ্ছে। শুধুমাত্র বৃষ্টির সময় আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকছে, আবার গরম বেড়ে যাচ্ছে।'

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়ার ওপর দিয়ে আজ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

The sand, carried by the floodwaters from the Teesta river, has rendered the land unsuitable for cultivation.

49m ago