পৌষের আগেই কমছে উত্তরের তাপমাত্রা
কমতে শুরু করেছে উত্তরের জেলাগুলোর তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে আকাশ মেঘলা থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না সহসা। সন্ধ্যার পর থাকছে কুয়াশা।
আজ রোববার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অন্যদিকে, দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলার এই মৌসুমে সর্বনিম্ন।
আজ সকালে তেঁতুলিয়া ও দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস এসব তথ্য জানায়
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ ও দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানান আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, ঘনকুয়াশা আর উত্তরের শীতল বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে ছিল দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বেশির ভাগ এলাকা। সকাল ১০টার পরে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা ছিল।
অন্যদিকে, গত কয়েক দিন ধরে দিনাজপুরের ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ওপরে তাপমাত্র থাকলেও আজ হঠাৎ করে তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রি কমে যায়।
রোববার ভোর ৬টায় দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসে জেলার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ভোর ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তামাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন আরও তাপমাত্রা কমার আশঙ্কা রয়েছে।
এই শীতে রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকার কৃষিশ্রমিক শফিকুল ইসলাম ও পাথর শ্রমিক আতিয়ার রহমান জানান, হঠাৎ করেই খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশা।
এদিকে দিনাজপুর শহরের অটোচালক দুলাল মিয়া জানান প্রায় প্রতি শীতেই তাদের রোজগার অনেকাংশে কমে যায়। এবার শীত বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাটে লোকে উপস্থিতি কম হওয়াতে তেমন ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। যা হয় তা দিয়ে এই বাজারে চলা মুশকিল বলে তিনি জানান। পৌষ মাসে তাপমাত্রা আরও কমলে নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
দিনাজপুর সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ আবদুল কাইয়ুম বলেন, শীতে বৃদ্ধ ও শিশুদের অসুস্থতা বেড়ে যায়। দেখা দেয় শীতজনিত নানা রোগব্যাধি। ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয় শিশুরা। তবে এখনও পর্যন্ত এর প্রকোপ তেমনটা না বাড়লেও আগামীতে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে এই অবস্থার অবনতির আশঙ্কা আছে।
Comments