তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে, খুলনা বিভাগের ৫ জেলায় স্কুল বন্ধ

ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হওয়ায় খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। সেই পাঁচ জেলা হলো—খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া।

আজ মঙ্গলবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন।

তিনি জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক (১০ ডিগ্রি বা তার বেশি) না হওয়া পর্যন্ত খুলনা, যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এই পাঁচ জেলার মাধ্যমিক স্কুলও বন্ধ আছে। খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে, তাই সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার ও আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব জেলার স্কুলগুলোর পাঠক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এসব স্কুলে শীতকালীন খেলাধুলা চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দুইদিন পর আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করব।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনায় আজ নয় দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল খোলা

খুলনা শহরে কিছু কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল খোলা দেখা গেছে।

আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে শহরের অন্তত পাঁচটি বেসরকারি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন খোলা দেখা যায়।

স্কুলগুলোর কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বছরের প্রথম দিকে শিক্ষাকার্যক্রমের চাপ বেশি থাকায় তারা এই মুহূর্তে স্কুল বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, তা ছাড়া আজ অন্যদিনের তুলনায় আবহাওয়া অনেকটা ভালো। সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ওহিদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রাথমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কিন্ডারগার্টেনও পড়ে। কিন্তু অনেক কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল আমাদের নির্দেশনা না মেনে তাদের মতো করে স্কুল খোলা রেখেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

53m ago