ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গু সংক্রমণের পরীক্ষায় নির্ধারিত অর্থের বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ হুঁশিয়ারি দেন।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ও সরকারি হাসপাতালগুলো ১০০ টাকা নিতে পারবে।
আহমেদুল কবির বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে করণীয় কী হবে, প্রতিটি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। রোগী বাড়লে অতিরিক্ত আবাসিক চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে, যেন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যহত না হয়, বলেন তিনি।
হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। ডেঙ্গু হলেই আমরা প্লাটিলেটের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে যাই। ডেঙ্গু আসলে প্লাটিলেট ডিজঅর্ডার নয়, এ ক্ষেত্রে ঝুঁকির কারণ হতে পারে প্লাজমা লিকেজ। এক কথায় বলতে গেলে ডেঙ্গুতে প্লাটিলেটের কোনো ভূমিকা নেই। প্লাটিলেটের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বেশি দরকার ফ্লুইড।
Comments