ডেঙ্গু টিকা এখনো ডেভেলপ হয়নি, ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিলে আনার চেষ্টা করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৮ রোগীর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ডেঙ্গু টিকার অনুমোদন দিলে তা আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিডি) টিকাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'এই টিকা এখনো ডেভেলপ হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে এ টিকা আনার চেষ্টা করব।'

মন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেখলাম জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছিল, প্রায় ৪৫ হাজার রোগী আমরা পেয়েছি। যেখানে ২০২২ সালে এই সময় ছিল মাত্র দেড় হাজার রোগী। আর এবার আগস্ট মাসে ১৫ হাজার রোগী পেয়েছি। এরই মধ্যে সব মিলিয়ে ৬৬ হাজার ৭০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। আর মারা গেছেন ৩১৩ জন। রোগীর সংখ্যার অনুপাতে মৃত্যুহার সেভাবে বাড়েনি। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।'

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেখানে এ মশার জন্ম হয় সেখানে স্প্রে করে লার্ভা ধংস করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা আছে, তাদের আমরা পরামর্শ দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিটি জেলা থেকে ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। অর্থাৎ প্রতিটি জেলায় এডিস মশা বিস্তার লাভ করেছে। কাজেই সারা দেশে এ কার্যক্রম হওয়া প্রয়োজন। শুধু ঢাকা সিটি কেন্দ্রিক নয়, সারা দেশে এডিস মশা নিধন করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সারা বছরই এ কার্যক্রম চলমান থাকা প্রয়োজন।'

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঢাকায় এখন রোগী ২ হাজার ১০০ জন ভর্তি আছেন। বাকি বেড খালি আছে। ঢাকার বাইরেও রোগী আছে। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৫ হাজার বেড প্রস্তুত আছে। সারা দেশে ৯ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'স্যালাইনের প্রয়োজন আগের তুলনায় ১০ গুণ বেড়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজন রোগীর ৪/৫ ব্যাগ করে স্যালাইন লাগে। ফলে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগছে। হাসপাতালগুলো স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে কিন্তু জোগাড় হয়ে যাচ্ছে। যারা স্যালাইন তৈরি করে তাদের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে। আশা করি স্যালাইনের জন্য চিকিৎসার ব্যাঘাত হবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, 'আমরা তো চিকিৎসা দেই, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিয়েছি। রোগীর অবস্থা হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়, মৃত্যুবরণ করেন। এজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার আছে। চিকিৎসক ও নার্সদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জনগণকে অবহিত করছি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়। এটা একটা মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

9h ago