কমেছে পেঁয়াজের দাম, আলু-ডিম-সবজির দাম যেমন

কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের আড়ৎ
কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের আড়ৎ। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আজ বুধবার ঢাকায় পাইকারি বাজারে ১৪০ টাকা কেজিতে দেশি পুরান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এটি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০ টাকায়, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৬০ টাকায়।

দেশি নতুন পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজি ৮০ টাকায় ও খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাতাসহ পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজি ৩৫ টাকায়, খুচরা বাজারে কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের আড়ৎ মাতৃভান্ডারের সজীব শেখ বলেন, 'দেশি পেঁয়াজ, পাতাসহ পেঁয়াজ এগুলো দাম কম হওয়ার কারণে বেশি চলছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি পুরান পেঁয়াজ তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না। এমনকি আজকে কিছুটা লোকসানও করতে হয়েছে।'

পেঁয়াজের দাম সামনের দিনগুলোতে আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।

কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা পাতাসহ পেঁয়াজ ও নতুন দেশি পেঁয়াজই বেশি কিনছেন।

আলু, ডিম, সবজির দাম যেমন

কারওয়ানবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আলুর আড়ৎ বিক্রমপুর ভান্ডারের ব্যবসায়ী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন বাজারে নতুন আলু চলছে বেশি। এগুলোর দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা। আমি আগেই পুরান আলু এনেছিলাম পাইকারি দরে ৪৭ টাকায়। এগুলো ৬০ টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু এখন ৪০ টাকায় ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তাও ক্রেতারা নতুন আলু চায়।'

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ বুধবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতের সবজির দাম এখনো বেশি বলছেন ক্রেতারা।

কারওয়ানবাজারে বরবটি, বেগুন, শিম, করলা ও পটল প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস। পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ১২০ টাকা ছিল।

অন্যদিকে, চিনির কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, মসুরের ডাল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সয়াবিন তেল (খোলা) ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ থেকে ৮৪৫ টাকায়।

Comments

The Daily Star  | English
asif nazrul election statement

'We will leave in February'

'We're determined to hold the election in February,' says Asif Nazrul

5h ago