অপারেশন থিয়েটারে ২ চিকিৎসকের হাতাহাতির অভিযোগ

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ২ চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখা হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ২ চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখা হয়।

রোববার এই অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন রোগীর অপারেশন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। 

এ সময় ডা. নাহিদ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলামকে ডেকে আনলে তার সঙ্গে ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে ডা. তাজুল ইসলাম অপারেশন থিয়েটারের ভেতরেই ডা. সামছুর রহমানের ওপর চড়াও হন এবং তাকে ঘুষি মারেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা অপারেশন থিয়েটারের দরজার সামনে থেকে ভেতরে হট্টগোল শুনতে পান। এক ডাক্তার আরেক ডাক্তারকে ঘুষি মেরেছে বলেও তারা শুনতে পান।

কর্মচারীরা জানান, এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এ সময় বেশ কয়েকজন রোগী অপারেশন না করেই চলে যান।

যোগাযোগ করা হলে ডা. তাজুল ইসলাম হাতাহাতির বিষয়টি অস্বীকার করেন। 
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডা. নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে ডা. সামছুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি সেখানে উপস্থিত হলে ডা. সামছুর আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।'

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ডা. নাহিদুল কাদির ও ডা. সামছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অপারেশন থিয়েটারের ভেতর ডাক্তারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার খবর শুনে আমি সেখানে দ্রুত ছুটে যাই। পরে আমি ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ওই দুই ডাক্তারের মধ্যকার বিবাদ মিটিয়ে ফের অপারেশন কার্যক্রম চালু করি।'

Comments