কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবায় মোবাইল অ্যাপ চালু

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে দুটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা পেতে সক্ষম হবে।
ছবি: ইউনিসেফের সৌজন্যে

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে দুটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা পেতে সক্ষম হবে।

ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই কৈশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে।

কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবার সহজপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে এ অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে বলে ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'এই প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশে কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন।'

'কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তাদের ক্ষমতায়নে এবং বয়স-ভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণে সম্ভবপর সবকিছু আমাদের করতে হবে।' 

ইউনিসেফ জানায়, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের  জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধা আছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় এ বিষয়ক নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্যই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।' 

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'বয়োসন্ধিকাল একটি রূপান্তরের সময়, যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। এই অ্যাপটি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে, যেগুলো তারা বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে।'

কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডার-ভিত্তিক নির্দেশিকা ও কোর্সের পাশাপাশি কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়ক তথ্য পাওয়া যাবে।

প্ল্যাটফর্মটির প্রচারণায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, পিয়ার-গ্রুপ (বন্ধু-দল) এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, 'এই কৈশোর স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ে ও ছেলের জীবন উন্নত করার সম্ভাবনা আছে। আমরা এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আনন্দিত।'

Comments