পরবর্তী মহামারি হতে পারে আরও ‘প্রাণঘাতী’: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা উঠে গেছে, তার মানে এই নয় যে, কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ফুরিয়ে গেছে। 
WHO chief
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসুস। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

'আরও বেশি প্রাণঘাতী' মহামারির বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে যখন কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক সতর্ক বার্তায় বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যা কোভিড-১৯ মহামারির চেয়ে 'মারাত্মক' হতে পারে।

তেদরোস বলেন, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা উঠে গেছে, তার মানে এই নয় যে, কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ফুরিয়ে গেছে। 

'আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে। যা নতুন করে রোগের বিস্তার ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তা ছাড়া আরেকটি মারাত্মক প্যাথোজেন ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।'

৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রতিবেদন পেশের সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান এসব কথা বলেন।

ডব্লিউএইচওর প্রধান পরামর্শ দেন, পরবর্তী মহামারি যখন আঘাত হানবে— আমাদের অবশ্যই সুচিন্তিত, সম্মিলিত এবং সঠিকভাবে সেটা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

টেড্রোস বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য কোভিড-১৯ এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। যা অর্জনের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

মহামারিটি ২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ঘোষিত 'ট্রিপল বিলিয়ন' লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে প্রভাবিত করেছে।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, মহামারি আমাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে সত্যি, কিন্তু এটাও দেখিয়েছে, আমাদের কেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন কেন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কেন মহামারি মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে একই তাড়না ও সংকল্প লালন করব।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago