ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে চান জেলেনস্কি

জেলেনস্কি বলেন, ‘চীনের প্রস্তাব ইঙ্গিত দেয় তারা শান্তিচেষ্টায় জড়িত। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না।’
ইউক্রেনে আগ্রাসন, ইউক্রেন, ভলোদিমির জেলেনস্কি, বেইজিং, শি জিনপিং,
ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানে বেইজিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির বলছে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পূর্তিতে জেলেনস্কি বলেন, 'চীনের প্রস্তাব ইঙ্গিত দেয় তারা শান্তিচেষ্টায় জড়িত। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না।'

চীনের পরিকল্পনায় শান্তি আলোচনা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও ১২ দফা নথিতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু, চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'একতরফা নিষেধাজ্ঞা' ব্যবহারেরও নিন্দা করে। যে বিষয়টিকে পশ্চিমে ইউক্রেনের মিত্রদের পরোক্ষ সমালোচনা হিসেবে দেখা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো জেলেনস্কির বৈঠকের আহ্বানে প্রকাশ্যে সাড়া দেয়নি।

তবে, চীনের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম আবার জানিয়েছে, চীন সরকার মস্কোতে ড্রোন ও আর্টিলারি শেল পাঠানোর কথা ভাবছে।

চীনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার এবিসি নিউজকে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রস্তাবের প্রশংসা করছেন। সুতরাং এটি কীভাবে ভালো হতে পারে? আমি পরিকল্পনায় এমন কিছু দেখিনি যা ইঙ্গিত দেয়, রাশিয়া ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে এটি ভালো হবে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মস্কো সফরের পর বুধবার তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পর ওয়াংকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, বেইজিং মস্কোর সঙ্গে 'রাজনৈতিক বিশ্বাস গভীর করতে' এবং 'কৌশলগত সমন্বয় জোরদার' করতে ইচ্ছুক।

Comments