বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষাহীন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে: আইএলও-ইউনিসেফ

বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষাহীন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা বছরের পর বছর বাড়ছে। ফলে তারা দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও বৈষম্যের ঝুঁকিতে আছে।

এক বিলিয়নেরও বেশি কারণ: শিশুদের জন্য সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা গড়ে তোলার জরুরি প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী অতিরিক্ত ৫০ মিলিয়ন শিশু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা বিধান- বিশেষত, শিশু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুর এই সংখ্যাটি ১ কোটি ৪৬ লাখে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে শিশু ও পারিবারিক সুবিধার হার কমে গেছে বা স্থবির হয়ে পড়েছে। যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামাজিক সুরক্ষা অর্জনের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে কোনো দেশ নেই। ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এই হার প্রায় ৫১ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ কমেছে। অন্যান্য অনেক অঞ্চলে এই হার স্থবির রয়েছে এবং কম রয়ে গেছে। ২০১৬ সাল থেকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, সাব-সাহারান আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় এই হার যথাক্রমে ২১ শতাংশ, ১৪ শতাংশ, ১১ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ।

শিশুদের পর্যাপ্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থতা তাদের দারিদ্র্য, রোগ, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা এবং দুর্বল পুষ্টির ঝুঁকিতে ফেলে দেয় এবং বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রমের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশ্বব্যাপী, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করার সম্ভাবনা দ্বিগুণ। যারা প্রতিদিন ১ দশমিক ৯ মার্কিন ডলারেরও কমে (পিপিপি *) বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছেন তাদের প্রায় ৩৫৬ মিলিয়ন শিশু। এক বিলিয়ন শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। যার অর্থ হলো তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পুষ্টি, স্যানিটেশন বা পানির ব্যবস্থা নেই। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী শিশু সংখ্যা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

5h ago