তুরস্কে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এরদোয়ান বলেন, ‘তুরস্ক শুধু জ্বালানি আমদানিকারক দেশ হিসেবেই থাকবে না। এটি জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হবে।’
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
তুরস্কের কনিয়া প্রদেশে কালিয়ন কারাপিনার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: ডেইলি সাবাহ থেকে নেওয়া

নিজ দেশে প্রতিদিন ভালো মানের ১ লাখ ব্যারেল পেট্রোলিয়াম উৎপাদন করা যাবে, এমন তেলখনি আবিষ্কারের ঘোষণার পাশাপাশি ইউরোপের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

এটি বিশ্বের ৫ বড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের একটি।

গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের প্রভাবশালী দৈনিক ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানিয়েছে।

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এরদোয়ান বলেন, 'তুরস্ক শুধু জ্বালানি আমদানিকারক দেশ হিসেবেই থাকবে না। এটি জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হবে।'

তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় কনিয়া প্রদেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করেছে তুরস্কের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান কালিয়ন হোল্ডিংয়ের কালিয়ন এনার্জি।

এখান থেকে ১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কালিয়ন কারাপিনার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তুরস্কের জ্বালানি আমদানি কমাবে এবং দেশটিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩২ লাখের বেশি সোলার প্যানেলসমৃদ্ধ এই কেন্দ্র থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাবে।

প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা এই কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এটি প্রতিবছর দেড় মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করবে।

এ ছাড়া এটি তুরস্কের মোট জ্বালানি উৎপাদনের ২০ শতাংশ পূরণ করবে।

প্রায় ২ কোটি বর্গমিটার আয়তনের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল।

Comments