ইউক্রেনের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাওয়া নিয়ে যা বলল রাশিয়া

আলেক্সান্ডার গ্রুশকো বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, পশ্চিমা দেশগুলো উত্তেজনা বাড়ানোর পথেই আছে। এটি তাদের জন্য বিরাট ঝুঁকি।’
রয়টার্স ফাইল ছবি

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার গ্রুশকো বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো উত্তেজনা বাড়ানোর রাস্তায় চলা অব্যাহত রেখেছে। মস্কো ইউক্রেনে এফ-১৬ বিমান পাঠানোর বিষয়টি যে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের আগে বিবেচনা করবে।  

আজ শনিবার রুশ সংবাদসংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।

আলেক্সান্ডার গ্রুশকো বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি, পশ্চিমা দেশগুলো উত্তেজনা বাড়ানোর পথেই আছে। এটি তাদের জন্য বিরাট ঝুঁকি। যে কোনো ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করার সময় আমরা এটিকে বিবেচনায় রাখব। লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের কাছে সব প্রয়োজনীয় উপায় রয়েছে।'

সুইস মিলিটারি রিভিউয়ের এডিটর-ইন-চিফ আলেকজান্দ্রে ভাউট্রাভার্স সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিলেও তাদের উত্তেজনা তৈরির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার আশঙ্কা কম বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি জেনেভা থেকে আল জাজিরাকে বলেন, 'যতবারই ইউক্রেনের কাছে নতুন অস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে, ততবারই আমরা অনেক রকম কথাবার্তা শুনেছি। তবে রাশিয়ার দিক থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে খুবই কম দেখা গেছে।'

এফ-১৬ এর বিষয়ে আজ মস্কোর দেওয়া বক্তব্যকে তাই বড় হুমকি মনে করছেন না তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে এফ-১৬ এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠাতে পারবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভ্যানের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শুক্রবার জাপানে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

এর ফলে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কসহ পশ্চিমের কিছু দেশ নিজেদের কাছে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ যুদ্ধবিমান ইউক্রেন অনেক দিন ধরেই চেয়ে আসছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ ঘটনাকে 'ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত' বলে উল্লেখ করেছেন।

Comments