ভেটো ক্ষমতা থাকা দেশগুলোর কারণে জাতিসংঘ অগণতান্ত্রিক

৮০০ কোটি মানুষ নিয়ে এই পৃথিবী জনসংখ্যার চাপে আছে। সরকারগুলো জনবিস্ফোরণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।
আয়োজনের শেষ দিনে বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ। ছবি: গোলাম মোর্তোজা/স্টার

প্রফেসর ইউনূসের 'স্যোসাল বিজনেস ডে'র এই আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ ও কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। এমন একটি আয়োজনে উপস্থিত থাকা সত্যিই অত্যন্ত সম্মানের। 'যুদ্ধ, শান্তি ও অর্থনীতি—মানব জাতির ভবিষ্যৎ' বিষয়ে আমার মন্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে। আমি আশা করি, গতকাল (২৭ জুলাই ২০২৩) থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় আমার মতামত, আমার প্রচেষ্টা কিছু যোগ করতে পারবে।

আলোচ্য বিষয়ের গভীরে যাওয়ার আগে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে কিছু বলতে চাই। প্রথমত, ৮০০ কোটি মানুষ নিয়ে এই পৃথিবী জনসংখ্যার চাপে আছে। সরকারগুলো জনবিস্ফোরণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।

একটি সহজ উদাহরণ দিতে চাই। এই ৮০০ কোটি মানুষ বর্জ্য তৈরি করছে, যা নিয়ে প্রতিটি দেশের সরকার সমস্যায় পড়ছে। সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে যখন এই মানুষগুলোর খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক, বিশেষ করে গরম পোশাক এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের বিষয় আসছে।

এই সমস্যাগুলো মোকাবিলায় অব্যাহত সমস্যার মুখে পড়ার পাশাপাশি আরেকটি জটিল বিষয় সামনে আসছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। আমরা অধিকহারে দেখতে পাচ্ছি বন্যা, সুনামি, ভূমিকম্প, বনাঞ্চলে আগুনের মতো বড় বড় দুর্যোগ।

একদিকে আমরা বর্জ্য তৈরি করে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছি, অপরদিকে অধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন ও ব্যবহারে প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে। এর পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে প্রভাব পড়ছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে। এটি আমাদের অস্থিতিশীল কার্যক্রমের দিকে পরিচালিত করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন আরও ত্বরান্বিত করছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি দুষ্টচক্র।

আগে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের (সিএফসি) প্রভাবের বিষয়ে কথা বলতাম, যা ওজন স্তর ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমরা কথা বলেছি ওপেন বার্নিং ও কার্বনডাইঅক্সাইডসহ নানা বিষয়ে। একটি বইয়ে পড়েছিলাম, লাখো টন ধ্বংসাবশেষ আমরা মহাকাশে ফেলছি রকেট ও স্যাটেলাইট থেকে। এর কিছু অংশ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। ধাতু দিয়ে তৈরি হওয়ায় এগুলো আলো প্রতিফলিত করতে পারে। এগুলো সরানো খুবই কঠিন এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যার কারণে আমরা সেগুলো সেখানেই ফেলে আসছি।

এখনও বিভিন্ন দেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরও রকেট ও স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে মহাকাশে। যার অর্থ, মহাকাশে এমন ধ্বংসাবশেষ আরও বাড়বে। অবশ্যই সেখানে আরও স্পেস স্টেশন ও স্যাটেলাইট হবে। আমরা সত্যিই জানি না এর কী প্রভাব পড়বে প্রকৃতির উপর।

কাজেই এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার যে এসব ধ্বংসাবশেষ আমাদের প্রকৃতির ক্ষতি করছে কি না। এগুলো ক্ষতি নাও করতে পারে। কিন্তু, এসব ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে থাকাটা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের মতোই। ধূমপান, এক্স-রে ও পারমাণবিক বোমার কথা মনে রাখবেন। আমরা ভেবেছিলাম এগুলো কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু, এখন আমরা ভালো করেই জানি, এর জন্য কতটা চরম মূল্য দিতে হয়।

ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: গোলাম মোর্তোজা/স্টার

যদিও আমরা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছি, তারপরও বিশ্বের আরেক প্রান্তে যুদ্ধের দামামা দেখতে পাচ্ছি। আমরা ভীত যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। সেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে।

আমি বলতে চাই, এসব ধ্বংসাবশেষ এবং মহাকাশে সেগুলোর পরিমাণ বাড়লেও এর কোনো প্রভাব আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর পড়বে না বলে উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের স্বাস্থ্য ও নতুন রোগের ওপর এর প্রভাব আছে কি না জানতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে বিধ্বংসী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে যেন আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা যুদ্ধও করি। আজকের দিনে যুদ্ধের কথা বলতে গেলে সবার আগে মনে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা। যুদ্ধ শুধু মানুষের জীবন নেওয়া এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তিই নয়, এর ফলে খাদ্য সরবরাহও প্রভাবিত হচ্ছে। পুরো বিশ্বকে শুধু খাদ্য নয়, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যও চড়া দাম দিতে হচ্ছে।

যদিও আমরা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছি, তারপরও বিশ্বের আরেক প্রান্তে যুদ্ধের দামামা দেখতে পাচ্ছি। আমরা ভীত যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। সেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে।

একটি সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ আছে যে রাশিয়ার মতো চীনও তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে পারে। রাশিয়া ও চীনকে এ ক্ষেত্রে দোষারোপ করা সহজ, কিন্তু তাদের ওপর একই রকম হুমকি রয়েছে—যা তাদের উস্কানি দিচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই চীন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আগে যেখানে উত্তেজনা সামান্য ছিল, সেটা এখন তুঙ্গে উঠেছে। এখন অবশ্যই সবাইকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর এর সুবিধাভোগী হবে অস্ত্র উৎপাদনকারীরা।

প্রথমে রাশিয়ার কথা ধরুন। আগের বিশ্বযুদ্ধে তারা পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে মিলে জার্মানির নাৎসিদের বিরুদ্ধে জোট গঠন করেছে। যুদ্ধ জয়ের পরপরই রাশিয়া বা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে উঠলো নতুন শত্রু। শুরু হলো স্নায়ুযুদ্ধ। রাশিয়ারই সাবেক জোট সদস্যরা তৈরি করলো ন্যাটো, আর রাশিয়া তৈরি করলো ওয়ারশ প্যাক্ট।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যখন এর সদস্য দেশগুলো স্বাধীন হলো, তখন ওয়ারশ চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ন্যাটো বহাল থাকে, আরও সদস্য যুক্ত করতে থাকে এবং তারা রাশিয়ার আশেপাশের দেশগুলোকেও ন্যাটোভুক্ত করে। যখন তারা ইউক্রেনকে যুক্ত করতে যায়, তখন রাশিয়া সেখানে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধ।

এখন দেখা যাক চীন ও তাইওয়ান পরিস্থিতি। বছরের পর বছর ধরে চীন 'এক চীন' নীতির ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের দাবি, তাইওয়ান চীনের অংশ। কিন্তু তাইওয়ানে আগ্রাসন বা যুদ্ধে যাওয়ার সরাসরি কোনো চেষ্টা কখনোই হয়নি। বাস্তবে, চীন তাইওয়ানের বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু, আমেরিকানরা বিষয়টি সেভাবে থাকতে দেয়নি এবং তাদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে তাইওয়ানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সবাই জানে এটা চীনকে উস্কে দেবে। কিন্তু স্পিকার কোনো পরামর্শ শোনেননি।

স্বাভাবিকভাবেই চীন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আগে যেখানে উত্তেজনা সামান্য ছিল, সেটা এখন তুঙ্গে উঠেছে। এখন অবশ্যই সবাইকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর এর সুবিধাভোগী হবে অস্ত্র উৎপাদনকারীরা।

এই সময়ে যখনই আমরা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, তখন চীনকে ছাড়া বলতে পারি না। পশ্চিমা মিডিয়ার চোখে দেখলে, চীন একটি যুদ্ধবাজ জাতি, যারা সামরিকভাবে তাদের দেশ সম্প্রসারণ করতে চায়। এমন উদাহরণ রয়েছে যেখানে চীন কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ দেখা যেতে পারে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের দাবির বিষয়টি। এর ফলে, দক্ষিণ চীন সাগরের দাবিদার দেশগুলোর মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। কিন্তু, চীন এমন কিছু নয় যেখানে পশ্চিমা দেশ বা চীনের সমালোচকরা যা ইচ্ছা করতে পারে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ। ছবি: গোলাম মোর্তোজা/স্টার

সর্বশেষ বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে পশ্চিমারা বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে ওইসব দেশের শাসন পরিবর্তন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে। তা ছাড়াও, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ খুবই সাধারণ বিষয়, যার সর্বশেষ উদাহরণ ইউক্রেন যুদ্ধ।

সব দিক থেকেই চীন এত বড় যে তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব না এবং তাদের মোকাবিলা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শেখা। পশ্চিমা মিডিয়া তাদের যুদ্ধবাজ বলে অভিহিত করলেও চীন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা তা নয়।

সর্বোপরি, যখন পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বারবার নিজেদের আধিপত্য দেখাতে চেয়েছে, তখন চীন নিজেদের প্রমাণ করেছে এমন একটি দেশ হিসেবে, যারা দেশে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে একটি উদাহরণ হতে পারে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করা। এই ২ দেশ কয়েক দশক ধরে বিবাদে জড়িয়ে ছিল।

সর্বশেষ বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে পশ্চিমারা বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে ওইসব দেশের শাসন পরিবর্তন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে। তা ছাড়াও, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ খুবই সাধারণ বিষয়, যার সর্বশেষ উদাহরণ ইউক্রেন যুদ্ধ।

এই পটভূমিতে, আমি মনে করি যে চীনের বিশ্বের পরাশক্তি হয়ে ওঠার বিষয়ে যতটা সতর্ক থাকতে হবে, তারচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে চীনকে দেওয়া পশ্চিমাদের উস্কানির বিষয়ে। চীন যদি তাদের উস্কানিতে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে তা হবে পশ্চিমাদের করা এক ভবিষ্যদ্বাণী।

এখনই সময় নতুন করে একটি গণতান্ত্রিক বিশ্ব সরকার গঠনের জন্য চাপ দেওয়ার এবং এই ধরনের ভেটো ক্ষমতা বা সকলের ওপর গুটি কয়েকের প্রভুত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার।

আমি জানি যে এখানে একটি নীরস চিত্র আঁকলাম। কিন্তু যা হচ্ছে, তা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি বিগত কয়েক বছরে, বিশেষ করে মহামারি চলাকালীন পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নেই, তাহলে এখনো এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারি।

সেখানে আমরা শিখেছি, মহামারি বা করোনাভাইরাস ধনী বা দরিদ্র মানুষ কিংবা উন্নত বা অনুন্নত জাতির মধ্যে কোনো বৈষম্য করেনি। কিন্তু, আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল বৈষম্যমূলক। ধনীরা টিকা পেয়েছে কিন্তু দরিদ্ররা, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কিংবা খুবই কম টিকা পেয়েছে।

এ বিশ্বের মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলাচল করতে থাকায় ভাইরাস সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরেছে। কেউ বুঝতে পারার আগেই, লকডাউন দেওয়ার আগেই এটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের মহামারির বিস্তার রোধ ও মোকাবিলায় সফল হওয়া সম্ভব কেবল মাত্র বৈশ্বিক প্রচেষ্টায়। একইভাবেই আমাদের চারপাশে সব ধরনের বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধও বন্ধ করা অসম্ভব না।

বৈশ্বিক সংস্থাগুলো মহামারি প্রতিরোধ, যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ, সম্পদ বণ্টন—সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ভেটো ক্ষমতা থাকা কয়েকটি দেশ সেখানে আধিপত্য দেখায়। ভেটো ক্ষমতা থাকা কয়েকটি দেশ গণতন্ত্রের উদ্যোক্তা হলেও তারা জাতিসংঘকে অগণতান্ত্রিক করে রাখার বিষয়ে অনড়।

এখনই সময় নতুন করে একটি গণতান্ত্রিক বিশ্ব সরকার গঠনের জন্য চাপ দেওয়ার এবং এই ধরনের ভেটো ক্ষমতা বা সকলের ওপর গুটি কয়েকের প্রভুত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার। এই নতুন বিশ্ব সরকারকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে কোনো দেশের ওপর হওয়া আগ্রাসনকে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত করার।

আর এটাই হতে পারে মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অন্যতম সমাধান, যা ন্যায্যতারভিত্তিতে তাদের দীর্ঘকাল বাঁচিয়ে রাখতে পারবে।

(গত ২৭-২৮ জুলাই মালয়েশিয়ার লঙ্কাভিতে অনুষ্ঠিত 'স্যোসাল বিজনেস ডে ২০২৩' এর আয়োজনে দেওয়া মাহাথির বিন মোহাম্মদের বক্তব্য)

Comments