জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেল একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র, ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গাজা’

গাজাকে কয়েক শতাব্দী আগের এবং মধ্যযুগীয় সময়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
খাবার, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের মুহুর্মুহু বিমান হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। খাবার, সুপেয় পানি ও জ্বালানির অভাবে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট।

এরমধ্যেই জ্বালানি সংকটে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার জ্বালানি কর্তৃপক্ষ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এতে গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য, পণ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন গাজাবাসীকে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হবে, যদি তাদের কাছে  জ্বালানির মজুদ থাকে।

এর আগে জ্বালানি সংকটের কারণে আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছিল সেখানকার জ্বালানি কর্তৃপক্ষ।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন গাজার হাসপাতালগুলোকে জরুরি জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে যে পরিমাণ জ্বালানি তাদের কাছে মজুদ আছে তাতে মাত্র দুই থেকে চারদিন চলতে পারবে। 

গাজার বাসিন্দারা আল-জাজিরাকে জানান, বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মানে হলো- এখন গাজার ভবনগুলোতে কোনো লিফট কাজ করবে না। ভবনগুলোতে পানিও পৌঁছাবে না। 

আজ রাতে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকতে হবে বলেও জানান তারা।

বাসিন্দারা আরও জানান, গাজায় কোনো বিদ্যুৎ নেই। তারা মোবাইল ফোন চার্জ করতে বা টিভি দেখতে পারছেন না। এ কারণে চলমান সংঘাতের তাৎক্ষণিক কোনো খবরও তারা ঠিকমতো পাচ্ছেন না।

তারা জানান, গাজাকে কয়েক শতাব্দী আগের এবং মধ্যযুগীয় সময়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

Comments