ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন

‘ভুল হয়েছে, ক্ষমা চাই’

‘আমি অন্যদের মতামত আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছি। যুদ্ধস্মৃতি জাদুঘর হিসেবে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। আমরা সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।’
নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ওয়ার মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের দেয়ালে আলো দিয়ে ইসরায়েলের পতাকা (বামে) ও গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘর থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড ও রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ওয়ার মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের দেয়ালে আলো দিয়ে ইসরায়েলের পতাকা বানিয়ে দেশটির প্রতি সমর্থন জানানোয় ফিলিস্তিনের সমর্থকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে 'ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী।

গতকাল সোমবার নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড এ তথ্য জানিয়ে বলে, গত রোববার ইসরায়েলের সমর্থনে আলো দিয়ে জাদুঘরটি সাজানো হলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিন সমর্থক এর প্রতিবাদ করেন। তারা 'বাতি নিভিয়ে' দেন।

জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিভস এক বার্তায় ক্ষমা চেয়ে জানান তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

রিভস বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম এর মাধ্যমে শান্তির বার্তা প্রকাশ করতে পারবো। আমাদের ভুল হয়েছে। আমাদের যারা এতে কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাই।

তিনি আরও বলেন, 'আমি অন্যদের মতামত আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছি। যুদ্ধস্মৃতি জাদুঘর হিসেবে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। আমরা সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।'

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই রাতে আলো দিয়ে জাদুঘরের দেয়ালে ইসরায়েলের পতাকা বানানোর মাধ্যমে দেশটির প্রতি সমর্থন জানায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিন সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানায় এবং জাদুঘরের 'আলো নিভিয়ে' দেয়।

এ নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ ডাকা হয়।

পুলিশের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, সেখানে 'শান্তি বজায় রাখতে' পুলিশ কর্মকর্তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছিলেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত সব প্রতিবাদকারী সেই জায়গা থেকে চলে যান।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে অনেকে জাদুঘরের চারপাশে অবস্থান করছেন। তাদের হট্টগোলও শোনা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অব নিউজিল্যান্ড'র পোস্টে বলা হয়, ফিলিস্তিন সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা জাদুঘরের বাতি 'নষ্ট' করেছেন।

অকল্যান্ড মিউজিয়াম ইনস্টিটিউটের সদস্য ও 'জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন' কর্মী জানফ্রি ওয়াকিম গণমাধ্যমকে বলেন, 'প্রতিবাদকারীরা তাদের গায়ের জ্যাকেট ও হাতের পতাকা দিয়ে বাতি ঢেকে দেন।

তিনি একে পুরোপুরি অহিংস প্রতিবাদ বলে অভিহিত করে বলেন, 'জাদুঘরের এমন একপক্ষীয় ভূমিকায় কষ্ট পেয়েছি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'

পরে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাদুঘরের পক্ষ থেকে এক পোস্টে বলা হয়, 'আমরা সব ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষের বিরোধিতা করি।'

Comments